
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন যে শিল্পীরা, তাঁদের বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। যদিও পরে তৃণমূল নেতার এই দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন খোদ দলের সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কুণাল নিজের দাবিতেই অনড় থেকেছেন। আর এবার প্রতিবাদী শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল সিপিআইএম।
এদিন প্রতিবাদী শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়ে সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘তৃণমূল চায় ওঁদের ভাতে মারতে। আমাদের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। যতদিন আমরা বেঁচে আছি, মানুষের জন্য মুখ খোলা কোনও শিল্পীর থালায় ভাতের অভাব হবে না’।
সিপিআইএম নেতা আরও বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে ওঁদের এই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করি। সবার কাছে আবেদন, সমাজের জন্য যেসব শিল্পীরা রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁদেরকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্বও সমাজকে নিতে হবে। যে সংগঠনগুলোতে এই আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষজন রয়েছেন, সবার কাছে আমরা এই বার্তা দিতে চাই, যে শিল্পীদের এরা বয়কট করবে বলছে, আরও বেশি করে সেই শিল্পীদের সেই মঞ্চে জায়গা করে দেওয়া হোক’।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর শিল্পীদের বয়কটের দাবি জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, ‘যে শিল্পীরা পরিকল্পিত কুৎসা করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী-সহ সরকার ও দলকে জঘন্য ভাষায আক্রমণ করেছেন, সরকার ফেলে দেওয়ার কথা বলেছেন, তৃণমূল সমর্থকদের কুৎসিত ভাষায় অপমান করেছেন, তাঁদের এই শীতের মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের আয়োজিত জলসা বা অনুষ্ঠানে যেন না দেখা যায়। এই শীতে এঁদের বয়কট করা হোক। কোনও তৃণমূল নেতার কোনও বিভ্রান্তি থাকলে উচ্চতর নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে নিন। কর্মী-সমর্থকদের আবেগকে সম্মান দিন’।
যদিও কুণালের সেই সমস্ত দাবি উড়িয়ে দিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পার্টির তরফে কেউ এমন বলেছেন? কোনও নোটিস দেখেছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা আমি জেনারেল সেক্রেটারি কিছু বলেছি? কোথায় কাকে দিয়ে গান গাওয়াবে, কখন গাওয়াবে, কে গান গাইবে, আমি জোর করে কারও মাথায় চাপাতে চাই না। আমি কোথা দিয়ে হাঁটব-চলব, সেটা আমার সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতা সকলের আছে।'
এর জবাবে কুণাল নিজের মন্তব্যে অনড় থেকে বলেছিলেন, ‘কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। আমি কোনও প্রতিবাদীকে বয়কটের কথা বলিনি। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন, যাঁরা তৃণমূল কর্মীদের বলেছিলেন ‘চটিচাটা’, যাঁরা বাংলাদেশ মডেলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যছাড়া করার কথা বলেছিলেন, আমি তাঁদের বয়কট করার কথা বলেছি’। কুণালের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন