বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে জানকবুল লড়াই করে লালঝান্ডাকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানালেন সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার হিঙ্গলগঞ্জে ভিড়ে ঠাসা এক সমাবেশে মীনাক্ষী বলেন, “জোর করে গরিব মানুষের জমি কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল। গত ১৫ বছরে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়েছে। তৃণমূলীরা নামে বেনামে বিভিন্ন জায়গায় বিঘা বিঘা জমি, দামি গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর গ্রামের মানুষ গরিব থেকে আরও গরিব হয়েছে।”
সিপিআই(এম) হিঙ্গলগঞ্জ দক্ষিণ এরিয়া কমিটির ডাকে আয়োজিত এই সমাবেশে সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামের যুবকরা রাজ্যে কাজ না পেয়ে বিভিন্ন রাজ্যে কাজের খোঁজে যাচ্ছেন আর এঁদের মধ্যে কেউ কেউ কফিন বন্দী হয়ে গ্রামে ফিরছেন। বিজেপি পুরো বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছে।
তৃণমূলের লাগামছাড়া দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এদিন মীনাক্ষী বলেন, গ্রামে এক সময়ে যাদের এক প্যাকেট বিড়ি কেনার ক্ষমতা ছিল না তারা এখন তৃণমূলের ছত্রছায়ায়। বিভিন্ন অসাধু উপায় অবলম্বন করে ভেড়ির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। হিঙ্গলগঞ্জ সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যেভাবে মানুষের ওপর এবং বিশেষ করে মহিলাদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূল। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কোমরবেঁধে লড়াই করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হিঙ্গলগঞ্জের সব বুথে সাধারণ মানুষ কোমর বেঁধে লড়াই না করলে এই অন্যায় অত্যাচারের প্রতিকার করা যাবে না। এখন গ্রামে ঢুকেই যে তিনতলা বা চারতলা বাড়ি দেখা যায় খুঁজলে দেখা যাবে তার বেশিরভাগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান বা পঞ্চায়েত সদস্যদের বাড়ি। কীভাবে রাতারাতি এই আঙুল ফুলে কলাগাছ হল?
গতকালের জনসভায় মীনাক্ষী মুখার্জি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাষ রায়চৌধুরী, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক পলাশ দাশ, সিপিআইএম নেতা ঝন্টু মজুমদার প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন রবি বিশ্বাস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন