
বন্যা কবলিত জলপাইগুড়িতে ত্রাণ দিতে গিয়ে পাথরের আঘাতে গুরুতর আহত হলেন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁকে ঘিরে ধরে উত্তেজিত জনতা 'গো ব্যাক' শ্লোগান তোলে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এই হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের তরফ থেকে যদিও এর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কারা পাথর ছুঁড়েছে জানতে তৎপর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এলাকায় এখনও উত্তেজনা আছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।
বন্যা ও ধসে উত্তরবঙ্গ থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। একাধিক গ্রাম জলের তলায়। এই অবস্থায় জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করতে যান মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ। সেখানেই আহত হন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি সাংসদের কপাল ও নাক থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং তাঁর পোশাক রক্তে ভিজে গেছে। যদিও ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
বিজেপি সূত্রে খবর, সাংসদ খগেন মুর্মু ছাড়াও ওই সময় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-সহ আরও কয়েকজন নেতার উপর হামলা চালানো হয়। তাঁরা বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিলি করছিলেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলার আগে প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। এই ঘটনার পরপরই বিজেপির তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স মাধ্যমে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে লেখেন, “এটাই তৃণমূলের জঙ্গল রাজ! জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বন্যা ও ধসের পর ত্রাণ বিলির সময় উত্তর মালদহের দু'বারের সাংসদ ও শ্রদ্ধেয় আদিবাসী নেতা খগেন মুর্মুর উপর তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ চালিয়েছে”।
তিনি মমতা ব্যানার্জিকে "বন্যা পরিস্থিতিতে নিখোঁজ" বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি লেখেন, 'যাঁরা প্রকৃত অর্থে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, সেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপরই আক্রমণ চালানো হচ্ছে'।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “যখন উত্তরবঙ্গ বন্যা ও ধসে বিপর্যস্ত তখন মুখ্যমন্ত্রী সেলিব্রিটিদের সঙ্গে কার্নিভ্যালে নাচছেন। এটা এক নিষ্ঠুর আচরণ।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “মমতা ব্যানার্জি এখন আতঙ্কিত হয়ে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের তৃণমূল কর্মীদের ব্যবহার করে বিজেপি নেতাদের উপর হামলা চালাচ্ছেন, যাতে তাঁরা ত্রাণ কাজ থেকে সরে আসেন। কিন্তু আমরা ভয় পাই না।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন