

রাজ্যজুড়ে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিলি করছে সরকার। এই প্রসাদ বিলিতে খরচ হচ্ছে ৪২ কোটি টাকা! আর সমস্ত টাকাই যাচ্ছে সরকারি কোষাগার থেকে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
জগন্নাথ মন্দির পরিচালনার জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নিয়মানুযায়ী প্রসাদের দায়িত্বে থাকার কথা ওই কমিটির। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে প্রসাদ বিলির দায়িত্ব নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আবাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশন বা হিডকো (HIDCO)।
জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে প্রতি পরিবার পিছু একটি করে গজা ও পেঁড়া বিলি করার জন্য রাজ্য সরকার ৪২ কোটি টাকা খরচ করছে। বিশ্ব যোগা দিবসের আগের দিন পর্যন্ত অর্থাৎ ২০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন জেলাশাসক ও কলকাতার পুর কমিশনারকে এই উদ্দেশ্যে ৩২ কোটি টাকা দিয়েছে হিডকো। নবান্নের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরও ১০ কোটি টাকা দিতে হবে।
বিজেপি নেতা বলেন, '‘হিডকো মূলত রাজ্য সরকারের প্রোমোটার। সরকারের ডেভেলপার। তার কাজ সরকারি বাড়ি বানানো। তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম, মন্দির নয়, সরকারি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নামে হিডকো একটি বাড়ি বানিয়েছে দিঘায়। মন্দির নাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কেন গজা এবং পেঁড়ার জন্য খরচ করবে? সরকারের বিভিন্ন খাত থেকে কেন টাকা তুলছে?’' তাঁর দাবি, 'হিডকোর সাথে যুক্ত থাকা আমলারাই নবান্নের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। রাজ্য পুরো রসাতলে গেছে।'
এই বিপুল অর্থ খরচের অভিযোগের পাশাপাশি রাজ্যের কোষাগারের বর্তমান অবস্থাও তুলে ধরেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি নেতা বলেন, ডিএ নেই, শিক্ষকদের চাকরি অনিশ্চিত, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-র ভাতা বন্ধ হয়ে গেল, ইতিমধ্যেই চলতি মাসে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। এই চরম আর্থিক দুর্বলতার মধ্যে রাজ্য সরকার ৪২ কোটি টাকা খরচ করছে প্রসাদ বিলির উদ্দেশ্যে।
বিজেপি নেতার দাবি, হিডকো প্রকাশ্যে জানাক কোন সরকারি নির্দেশের ভিত্তিতে গজা এবং পেঁড়া বিলি করছে তারা? তাদের কোন আইনে আছে এই প্রসাদ বিলি করার নিয়ম? হিডকো জবাব না দিলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগ প্রসঙ্গে হিডকোর চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। সরকারের তরফ থেকেও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন