“এ কি হাল বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতির? কারা যেন সৌজন্যের রাজনীতির পাঠ দিচ্ছিলেন!” সোমবার এই ভাষাতেই রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় রাজ্য প্রশাসনের অসহযোগিতার বিরুদ্ধে সরব হয়ে মহম্মদ সেলিম এই মন্তব্য করেন।
এদিনের ট্যুইটে সেলিম আরও বলেন, "মালদায় সরকারি গেস্ট হাউসে রাহুল গান্ধীর মধ্যাহ্নভোজের অনুমতি প্রত্যাখ্যানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার!"
পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের পর থেকেই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল। সেই একই অভিযোগ আরও একবার তোলা হল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। যা নিয়ে কংগ্রেসের পাশাপাশি সরব হয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও।
আগামী ৩১ জানুয়ারি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা প্রবেশ করবে মালদায়। জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওইদিন দুপুরে রতুয়া থানার ভালুকার সরকারি সেচ দপ্তরের গেস্ট হাউসে মধ্যাহ্নভোজনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করা হলেও সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি গেস্ট হাউসে মধ্যাহ্নভোজনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এর পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদে বহরমপুর স্টেডিয়ামেও রাহুল গান্ধীর যাত্রাকে রাত্রিবাসের অনুমতি দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গেই রাজ্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ঐতিহ্য মনে করিয়ে দিয়ে রাজ্য প্রশাসন তথা রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি তৃণমূলের ইন্ডিয়া মঞ্চ থেকে সরে গিয়ে একলা চলো সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্ডিয়া মঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ শরিক সিপিআইএম সরাসরি অপর শরিক কংগ্রেস-এর হয়ে মুখ খোলায় দুই পক্ষ আরও কাছাকাছি এল বলেই অভিমত রাজনৈতিক মহলের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন