আর মাত্র একদিন। আগামীকাল বুধবার ১৭ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে সিপিআইএম-এর বাংলা বাঁচাও যাত্রা। আজ মঙ্গলবার বাংলা বাঁচাও যাত্রার অষ্টাদশ দিন। যাত্রার শেষ তিন দিন উত্তর ২৪ পরগনার গ্রাম শহর ঘুরে বুধবার যাত্রার সমাপ্তি সমাবেশ বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়া ময়দানে। গত ২৯ নভেম্বর কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলী হয়ে যাত্রা এখন উত্তর ২৪ পরগনায়।
রবিবার রাতে হুগলি থেকে দক্ষিণেশ্বর দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় প্রবেশ করে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। সোমবার সকালে যাত্রার পথচলা শুরু হয় নাগেরবাজারের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে। পথে সেন্ট্রাল জেল, ওয়ারলেস মোড়, কাঁচড়াপাড়া, নৈহাটি, ইছাপুর, বারাকপুর, আমডাঙ্গা আওয়ালসিদ্ধি হয়ে অশোকনগরের সমাবেশ দিয়ে শেষ হয় দিনের যাত্রা। মঙ্গলবার সকালে যাত্রা পথ চলা শুরু করবে হাবড়া থেকে।
গতকাল আমডাঙার আওয়ালসিদ্ধির সভায় সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, তৃণমূল বিজেপির রাজনীতি খারাপ। এই দুই দলের রাজনীতি গরিব মানুষকে বেঁচে থাকতে দেয়না। বিজেপির আমলে প্রত্যেকবার ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। আর আমরা বলেছিলাম ১০০ দিনের কাজ আমরা ২০০ দিন করতে চাই। এই কাজের মজুরি বাড়াতে চাই। পার্থক্য এখানেই।
অশোকনগরের সমাবেশে তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি ২৫ কোটি টাকা খরচ করে গরু চোর, চাকরি, চোর, বালি চোর, কয়লা চোরদের রক্ষা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। এই খবর কোনও কাগজ দেখায় না। এই সবের বদলে খবরের কাগজও এখন হিন্দু মুসলিম বিভাজন নিয়ে মেতে আছে।
তিনি আরও বলেন, এরা মেসিকেও বেচে দিয়েছে। কিন্তু এরা কি শুধু মেসি আসাতে ল্যাজে গোবরে হয়েছে? তা তো নয়। এরা চাকরি দিয়েছে, তাতে ল্যাজে গোবরে। ওবিসিতে ল্যাজে গোবরে। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে গুন্ডারাজ তৈরি করা ছাড়া এরা আর কিছুই করেনি।
অশোকনগরের সভায় শতরূপ ঘোষ বলেন, এই যাত্রা, এই সমাবেশের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলা গড়তে চাই। কতকগুলো লক্ষ্য নিয়ে আমরা বামপন্থীরা লড়াই করছি। এই বাংলাজুড়ে যে নৈরাজ্য চলছে তা আটকাতে, বিপন্ন এই বাংলাকে বাঁচাতে বিকল্প তৈরি করতে চাইছি। সেই ন্যায্য লড়াই লড়ার জন্য আমরা আপনাদের পাশের চাইছি। তাই এই বাংলা বাঁচাও যাত্রা।
মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন সমাবেশ, পথ সভায় মীনাক্ষী মুখর্জি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী, পলাশ দাশ, শতরূপ ঘোষ, দীপ্সিতা ধর, ময়ূখ বিশ্বাস, প্রণয় কারজি, তড়িৎ বরণ তোপদার প্রমুখ বাম নেতৃত্ব।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন