

গ্রাম শহর মফস্বলের বুকে বিকল্প রাজনীতির কথা বলে এগিয়ে চলেছে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। শনিবার পঞ্চদশ দিনে সিপিআইএম-এর বাংলা বাঁচাও যাত্রা হুগলীতে। ২৯ নভেম্বর কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে একে একে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান জুড়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে যাত্রা। আগামী ১৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগণার কামারহাটিতে যার সমাপ্তি সমাবেশ।
পান্ডুয়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, বাংলা বাঁচাও যাত্রা শুধু বক্তৃতা নয়, এমনি কোনও যাত্রা নয়। এই যাত্রা বহুমাত্রিক। এই যাত্রার পথ জুড়ে উঠে আসছে নতুন নতুন ইস্যু। নতুন নতুন সমস্যা। সেখানে রুটি রুজির কথা আছে, মাইক্রোফিন্যান্সের সমস্যার কথা আছে। এই যাত্রার মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলা জুড়ে। তিনি আরও বলেন, ডায়মন্ডহারবারে বিজেপির সহায়তায় তৃণমূল ভোট চুরি করে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলা বাঁচাও যাত্রার দেড় মাসের কর্মসূচীকে আমরা ১৫ দিনের মধ্যে নিয়ে এসেছি এসআইআর-এর জন্য। আমরা পরিকল্পনা করে আমাদের যাত্রাপথ তৈরি করেছি।
শুক্রবার নবদ্বীপ থেকে হেমাতপুর হয়ে বাংলা বাঁচাও যাত্রা পৌঁছায় মেমারীতে। মেমারীর সমাবেশে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, সমস্ত মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে তবেই বাংলাকে বাঁচানো সম্ভব। বাংলাকে বাঁচাতে হলে এখনই লাল ঝান্ডাকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্প্রীতি, সংহতির ওপর নাগপুরের নির্দেশে আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল। আরএসএস-এর এই বিপদকে খাল কেটে এনেছে তৃণমূল।
সভায় মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ভয়কে সরিয়ে রেখে লাল ঝান্ডাকে তুলে ধরুন। এসআইআর, মন্দির মসজিদের নামে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে তৃণমূল বিজেপি। জোট বেঁধে এই চক্রান্ত রুখে দিন।
মেমারীর সভায় পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, গ্রামে কাজ নেই। মানুষ বাঁচার জন্য অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে জোট বাঁধুন, লড়াইয়ে নামুন।
মেমারীর পর বাংলা বাঁচাও যাত্রা পৌঁছায় হুগলীর পান্ডুয়ায়। সৈয়দ হোসেন বাংলা বাঁচাও যাত্রার পতাকা তুলে দেন হুগলী জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষের হাতে। সেখানে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। পান্ডুয়া থেকেই উদ্বোধন করা হয় ঋণগ্রস্তদের বাঁচাতে আইনি সহায়তা কেন্দ্র।
পান্ডুয়ার সমাবেশে মহম্মদ সেলিম বলেন, কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে মতুয়া সব কিছু মগজের মধ্যে জট পাকিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি তৃণমূল। আমরা মানুষের জীবনের প্রকৃত সমস্যা তুলে ধরে মানুষকে জোট বাঁধতে বলছি। সব মানুষকে একজোট করার কথা বলছি।
পান্ডুয়ার সমাবেশে মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখার্জি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বন্যা টুডু, আভাস রায়চৌধুরী, দেবব্রত ঘোষ প্রমুখ বাম নেতৃত্ব।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন