
রাজ্য রাজনীতিতে উল্টোপূরাণ। এবার তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করল সিপিআইএম। জানা গেছে, ওই এলাকায় ৫০টি পরিবার তৃণমূল থেকে সিপিআইএমে (CPIM) যোগ দেওয়ার পরেই পার্টি অফিসটির দখল নেয় সিপিআইএম। এরপর থেকে উত্তপ্ত এলাকা।
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। ওই এলাকার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪৪ নম্বর বুথে ৫০টি পরিবার এতদিন তৃণমূলের সমর্থক ছিল। কিন্তু অভিযোগ, আবাস যোজনায় পাকা ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন এলাকার তৃণমূল নেতারা। কিন্তু তারপরেও মেলেনি ঘর। অভিযোগের তীর এলাকার তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের দাদা এবং শাসকদলের ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গির হোসেনের দিকে।
আরও অভিযোগ, টাকা আদায়ের নামে দিনের পর দিন গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। তৃণমূলের এই তোলাবাজির জেরে অতিষ্ট গ্রামবাসীরা। যার থেকে মুক্তি পেতেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে সিপিআইএমে যোগ দেন।
যদিও গ্রামবাসীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গির হোসেন। তাঁর দাবি, “গোটা রাজ্যে সিপিআইএম, কংগ্রেস আর বিজেপি মিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের বন্যা বইয়ে দিতে চাইছে। ভোটের আগে এই চক্রান্ত করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ সব বোঝে"।
স্থানীয় সিপিআইএম নেতা মুস্তাফিজুর রহমান রানা বলেন, “তৃণমূল বিধায়কের দাদা যে হারে জুলুমবাজি আর তোলাবাজি চালিয়েছেন, তা মানুষ আর মেনে নেবে না। তাই ধুমধাম করে তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগ দিচ্ছেন মানুষ। দোষ করলে তার ফল পেতেই হবে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন