
আরজি কর কাণ্ডের ১৬২ দিন পর দোষী প্রমাণিত হলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তবে এই রায়কে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, একা সঞ্জয় রায় দোষী নন, দোষ করেছে আরও অনেকে।
'তিলোত্তমা'র ধর্ষণ ও খুনের পর বিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কখনও স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্না তো কখনও ধর্মতলায় অনশন। ন্যায়ের দাবিতে রাজপথে থেকেছেন তাঁরা। শনিবার আদালতের রায়ের পর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।
অনিকেত মাহাতো সাংবাদিকদের জানান, 'এই রায়ে একদমই খুশি নই। প্রথম থেকে বলে আসছি এই ঘটনার সাথে দোষী একজন নয় একাধিক জন জড়িত। শুধু আমরা বলছি না বিভিন্ন আইনজীবীরাও এই কথা বলছেন। একাধিক ব্যক্তি জড়িত কিন্তু শাস্তি পাচ্ছে একজন! এ কেমন বিচার? বাকিরা মুক্ত কেন? প্রকাশ্য দিবালোকে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সিবিআই তদন্ত করছে। তারপরেও বাকিদের ধরা হচ্ছে না কেন?'
আরেক জুনিয়র চিকিৎসক জানান, আমরা প্রথম দিন থেকেই বলেছি বিচারের জন্য যতদূর যেতে হয় যাব। রাজপথ ছাড়ব না আমরা। লড়াই আমাদের চলবে। আগামী দিনে কীভাবে আমাদের আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাব তা নিয়ে আলোচনা করব। সঞ্জয় রায় দোষী হলে অবশ্যই শাস্তি হোক। কিন্তু একজনের পক্ষে সেমিনার রুমে গিয়ে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, 'আদালত যা রায় দিয়েছে তাতে বোঝা গেল কলকাতা পুলিশের তদন্ত সঠিক। কিছু বাম-অতিবাম মিলে চক্রান্ত করছিল। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়ে গেল রাজ্যের পুলিশ ঠিক। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন আমরা ফাঁসি চাই'।
শনিবার শিয়ালদহ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সঞ্জয় রায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ ধারা এবং ১০৩(১) ধারা (খুন) অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হয় সঞ্জয় রায়। বিচারক জানান, এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আগামী সোমবার এই রায় ঘোষণা করা হবে।
যদিও সঞ্জয় রায় বলেন, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি কিছু করিনি। আমার গলার রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে। দোষ করলে এই মালা ছিঁড়ে যেত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন