সঞ্জয় রায়
সঞ্জয় রায়ছবি - সংগৃহীত

R G Kar Case: 'সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড', আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়!

People's Reporter: সঞ্জয় রায় বলেন, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি কিছু করিনি। আমার গলার রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে। দোষ করলে এই মালা ছিঁড়ে যেত।
Published on

আরজি কর কাণ্ডে শিয়ালদহ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। আগামী সোমবার সাজা ঘোষণা করবে আদালত।

শনিবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী আজ শুনানি হয়। আদালত সূত্রে খবর, ১২ মিনিট শুনানি হয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ ধারা এবং ১০৩(১) ধারা (খুন) অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হয় সঞ্জয় রায়।

বিচারক জানান, এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আগামী সোমবার এই রায় ঘোষণা করা হবে।

সঞ্জয় রায় বলেন, 'আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি কিছু করিনি। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে। দোষ করলে এই মালা ছিঁড়ে যেত। আমাকে যা যা বলা হয়েছিল আমি সেটাই করেছি।' বিচারক বলেন, 'সিবিআই-র দেওয়া তথ্য প্রমাণ দেখে আমি সন্তুষ্ট। তার ভিত্তিতেই দোষ প্রমাণিত। আপনাকে শাস্তি পেতেই হবে। যা বলার আগামী সোমবার বলবেন।'

গত বছর ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া। মোট ৫২ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। দু’মাস ধরে চলেছে বিচারপ্রক্রিয়া। তদন্তকারী সংস্থা দুটি চার্জশিট জমা দিয়েছে এই মামলায়। সেখানে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করেছে সিবিআই। আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আরজির করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরেও তীব্র প্রতিবাদ হয়। ১০ আগস্ট গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায়কে।

সঞ্জয় রায়
ডাঃ আসফাকুল্লার বাড়িতে হাজির পুলিশ! 'তল্লাশির নামে কিছু রেখে দিলে...', আশঙ্কা জুনিয়র চিকিৎসকের
সঞ্জয় রায়
Kolkata Book Fair 2025: বইমেলা চলাকালীন বন্ধ মেট্রো! চালু করার দাবিতে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেবে গিল্ড

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in