

আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার। প্রথম থেকে নির্যাতিতার বিচারের দাবি সরব হয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁর বাড়িতেই চলল পুলিশের তল্লাশি। ফেসবুক লাইভে এমনই দাবি করেছেন জুনিয়র চিকিৎসক।
আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়ি কাকদ্বীপের প্রত্যন্ত গ্রাম রামতনুনগরে। বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক দাবি করেন, এদিন সাতসকালে আচমকাই তাঁর গ্রামের বাড়িতে হাজির হন ৩০-৪০ জন পুলিশকর্মী। তল্লাশির নামে বাড়ি তছনছ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আসফাকুল্লার আশঙ্কা, পুলিশি তল্লাশির নামে যদি কেউ তাঁর বাড়িতে কিছু রেখে আসে, তখন কী হবে? তাঁর বাবা নেই। মা এবং ছোট ভাই-বোনেরা আছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, হঠাৎ করে তাঁদের কেন ভয় দেখানো হল? এছাড়া এদিন লাইভে তিনি সরাসরি পুলিশকে জানান, তিনি আরজি করেই আছেন। দরকার হলে পুলিশ সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করুক।
আসফাকুল্লা দাবি করেন, তাঁর বাড়িতে প্রথমে মেডিক্যাল কাউন্সিলের একটি নোটিশ যায়। সেটাতে কোনও সই ছিল না। আর তারপরেই বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে হাজির হন একদল পুলিশ কর্মী।
অন্যদিকে, আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার্স ডক্টরস অ্যাসসিয়েশন অভিযোগ আনে, তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিজেকে ENT (নাক, কান, গলা) বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করছেন। জানা গেছে, এর জবাব চেয়ে তাঁকে চিঠি দেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলর। সাত দিনের মধ্যে চিঠির উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। তা না হলে আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
অন্যদিকে, এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আরজি কর আন্দোলনের আরেক প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ এবং নোটিশ পাঠিয়ে আরজি কর আন্দোলন দমানো যাবে না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন