'জল জীবন মিশনে' সবথেকে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, কাজ হয়েছে মাত্র ৩৭ শতাংশ, রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্র

তিনটি রাজ্যের কাজের গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই তিন রাজ্য হলো রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ। রাজস্থানে কাজ হয়েছে ৪৩ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডে ৪০ শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৩৭ শতাংশ।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী

কেন্দ্র সরকারের 'জল জীবন মিশন প্রকল্প'-এ সব থেকে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের এক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য বাংলাকে টাকাও দিয়েছে কেন্দ্র। তারপরেও কেন ধীর গতিতে কাজ হচ্ছে? আদৌ কি রাজ্যের মানুষ ২৪-র মধ্যে বাড়ি বাড়ি জল পাবে? এই সমস্ত প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৯-এর ১৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'জল জীবন মিশন প্রকল্প' ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল ২০২৪ সালে 'হর ঘর জল'। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের কাজ জোরকদমেই শুরু হয়। কিন্তু এখন তিনটি রাজ্যের কাজের গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই তিন রাজ্য হলো রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ। রাজস্থানে কাজ হয়েছে ৪৩ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডে ৪০ শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৩৭ শতাংশ। কিন্তু গোটা দেশে গড়ে ৬৭.২২ শতাংশ কাজ হয়েছে।

এই মিশনের মূল লক্ষ্য হল গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়া। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের গ্রামীণ এলাকায় ১৯ কোটি ২২ লক্ষ পরিবারের মধ্যে ১২ কোটি ৯২ লক্ষ পরিবারের কাছে জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ১ কোটি ৭৩ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে ৬৪ লক্ষ ৮৪ হাজার পরিবার জলের পরিষেবা পাচ্ছে।

এই রাজ্যগুলির কাজের গতি দেখে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, ২০২৪ সালের মার্চে মধ্যে একশো শতাংশ কাজ না হলেও ৭৫ শতাংশ হয়ে যাবে। বাকি ২৫ শতাংশ কাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হয়ে যাবে।

যদিও রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছানোর কাজ চলছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে পারব। আসলে পশ্চিমবঙ্গে কাজ দেরিতে শুরু হয়েছে। তাই সময় বেশি লাগছে।

ছবি - প্রতীকী
মাদুরাইতে ট্রেনের কামরায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ভয়াবহ আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ১০ যাত্রী
ছবি - প্রতীকী
ডেস্কটপে ১৬টি নতুন ফাইল ডাউনলোড করে গিয়েছে, ইডির বিরুদ্ধে লালবাজারে অভিযোগ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in