

রাজ্য সরকারের কাছে বন সহায়ক পদে নিয়োগের পরীক্ষার নম্বর সহ মেধাতালিকা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। তাহলে কি শিক্ষাদপ্তরের পর বন দপ্তরেও দুর্নীতি হয়েছে? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সৈয়দ মহম্মদ আলি সহ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, সরকার মেধাতালিকা প্রকাশ না করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সেক্ষেত্রে কে কত নম্বর পেয়েছে তা স্পষ্ট নয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা আদৌ যোগ্য কিনা তাও জানা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত মেধাতালিকা প্রকাশ করা। যদিও রাজ্য সরকার এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার নির্দেশ দেন, রাজ্য সরকারকে বন সহায়ক পদে পরীক্ষার নম্বর সহ মেধাতালিকা হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। ২০ জানুয়ারির মধ্যে এই হলফনামা আদালতে জমা করতে হবে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে পাল্টা হলফানামা পেশ করতে পারেন মামলাকারীরা।
উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ্য সরকার আদালতে হলফনামা দিয়েছিল। কিন্তু তাতে অসংগতি মিলেছে। প্রথমবার যে হলফনামা দেওয়া হয় তাতে দেখা যায় সরকার উল্লেখ করেছে ১৭০টি শূন্যপদে নিয়োগ হয়েছিল বীরভূম ও দুই বর্ধমানে। কিন্তু দ্বিতীয় হলফনামায় জানা যায় ১৬১টি শূন্যপদে নিয়োগ হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। এগুলো দেখেই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগে অসঙ্গতির ইঙ্গিত রয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ফেব্রুয়ারি মাসে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন