

রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের হাতে রক্তাক্ত হন ইডি আধিকারিকরা। সেই ঘটনার ১০ দিন পর অবশেষে 'খোঁজ' মিলল শাহজাহানের। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে ইডির করা মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী মারফত শাহজাহান জানান, তিনিও এই মামলায় যুক্ত হতে চান। আদালত যেন তাঁর বক্তব্য শোনে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান ইডি আধিকারিকরা। বারবার ডাকার পরও সাড়া মেলেনি তৃণমূল নেতার। এরপর মোবাইলের টাওয়ার পরীক্ষা করে জানা যায় তিনি বাড়ির মধ্যেই আছেন।
বাড়ির দরজার তালা ভাঙতে উদ্যত হলে শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আহত হন ইডি আধিকারিকরা। আহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এই ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা শাহজাহান। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয় ইডির তরফে। পাল্টা ইডির বিরুদ্ধেও মামলা করেন শাহজাহানের বাড়ির এক কর্মচারী।
সেই মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। শুনানি চলাকালীন এই মামলায় সিবিআই-এর অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান ইডির আইনজীবী। সোমবার সেই মামলাতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শাহজাহানের আইনজীবী। তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলও ওই মামলায় যুক্ত হতে চান। যদিও এই আবেদন শুনে বিচারপতি পাল্টা ভর্ৎসনা করেন শাহজাহানের আইনজীবীকে।
আদালতের তরফে শাহজাহানের আইনজীবীকে প্রশ্ন করা হয়, কেন শাহজাহান এখনও আত্মসমর্পণ করেননি? এরপর এই মামলায় যুক্ত হওয়ার জন্য ওকালতনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় শাহজাহানের আইনজীবী। আগামীকাল ফের এই মামলার শুনানি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন