তিন জায়গায় শিক্ষাগত যোগ্যতা তিন রকম - তথ্যে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠতেই 'ছাপার ভুল' বলে দাবি TMC বিধায়কের

People's Reporter: সুকান্ত লেখেন, ‘‘সরকারি নথি অনুযায়ী ২০২০ সালে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছেন। অথচ সচিত্র প্রচার পুস্তিকায় লেখা, তিনি নাকি সেন্ট পল্‌স কলেজ থেকে ইতিহাসে বিএ"।
সুকান্ত মজুমদার এবং লাভলি মৈত্র
সুকান্ত মজুমদার এবং লাভলি মৈত্রছবি - সংগৃহীত
Published on

তিন জায়গায় শিক্ষাগত যোগ্যতা তিন রকম - এবার তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের (Lovely Moitra) বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্যে অসঙ্গতির অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নিজের কথার সমর্থনে নথিও পোস্ট করেন বিজেপি নেতা। যদিও বিধায়কের দাবি, 'এটা ছাপার ভুল'। জানালেন, 'দায় আমার নয়'। পাশাপাশি সুকান্তকে 'হাফপ্যান্ট মন্ত্রী' বলেও আক্রমণ করলেন তিনি।

রবিবার সকালে নিজের সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন সুকান্ত মজুমদার। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য অপরিবর্তিত থাকলেও, তিন জায়গায় কলেজের নাম তিন রকম রয়েছে। পোস্টে সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্যে ‘বিস্ময়কর অসঙ্গতির’ কথা উল্লেখ করে সুকান্ত লেখেন, ‘‘সরকারি নথি অনুযায়ী তিনি ২০২০ সালে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছেন। অথচ তাঁর সচিত্র প্রচার পুস্তিকায় লেখা, তিনি নাকি সেন্ট পল্‌স কলেজ থেকে ইতিহাসে বিএ"।

পোস্টে সুকান্ত আরও লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য পরিচিতি পুস্তকে কলেজের নাম বদলে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ‘গোয়েঙ্কা কলেজ’, যেখানে ইতিহাস পড়ানোই হয় না! আবার বিধানসভার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পূর্ণ রূপে ফাঁকা!’’

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি লেখেন, ‘‘খুব সহজেই অনুমেয়, এই রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে শিক্ষার মানের অবক্ষয় কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে! আর শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রশ্নে তো তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীই নেই!’’

এ প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে প্রথমেই সুকান্তকে 'হাফপ্যান্ট মন্ত্রী' বলে আক্রমণ করেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘আমি শুনলাম কেন্দ্রের কোনও একজন হাফপ্যান্ট মন্ত্রী আমার সম্পর্কে কিছু ওঁর এক্স হ্যান্ডলে প্রকাশ করেছেন"।

শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্যে অসঙ্গতির অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে লাভলি জানান, ‘‘আমি যখন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করি, তখন জমা দেওয়া নথিতে পরিষ্কার উল্লেখ করা আছে যে, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি আমার স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেছি। সেটা বাদ দিয়ে বাকি কোথায় কী আছে, কোথায় কী নেই, কোথায় কী ছাপা হয়েছে, কে ছেপেছে, সেটা আমি জানি না। কোথাও যদি ছাপার ভুল হয়ে থাকে, কোথাও যদি ভুল তথ্য থাকে, তার দায়িত্ব কিন্তু আমার নয়"।

বিধায়ক আরও জানান, ‘‘সেন্ট পল্‌স কলেজে আমি পড়তাম। এটাও মিথ্যা নয়। কিন্তু সেই কলেজ আমাকে ছেড়ে দিতে হয়। আমি ওখানে পড়াশোনা চালাতে পারিনি। কারণ খুব কম বয়স থেকে আমি পেশাদার অভিনয় শুরু করি। তখন অভিনয়ের কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকতাম যে, কলেজ আমাকে ছেড়ে দিতে হয়"।

গোয়েঙ্কা কলেজ প্রসঙ্গে বিধায়কের দাবি, "গোয়েঙ্কা কলেজে আমি কোনও দিনই পড়িনি। হয়তো কোনও ভাবে কোনও ভুল তথ্য গিয়েছে। বা কোনও ছাপার ভুল হতে পারে। আমি বলতে পারব না"।

সুকান্ত মজুমদার এবং লাভলি মৈত্র
Karandighi: বেহাল রাস্তা নিয়ে বচসা! দলের কর্মী সমর্থকদের তাড়া খেয়ে গ্রাম ছাড়লেন তৃণমূল বিধায়ক
সুকান্ত মজুমদার এবং লাভলি মৈত্র
'দেশে গরীবের সংখ্যা বাড়ছে, সম্পদ ধনীদের হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে' - উদ্বেগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in