
শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলি প্রকাশ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। যার জেরে এদিন রাতে প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ ছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতু। এবার দুই রাজনীতিকের বিরুদ্ধে হাওড়া ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করলেন হাওড়ার এক সমাজকর্মী। পুলিশ পদক্ষেপ না করলে উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বাবুল সুপ্রিয় এবং অভিজিৎ গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন হাওড়ার সমাজকর্মী প্রতাপ বসু। তিনি নানা ধরণের সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকেন। শুক্রবার রাতের ঘটনায় অত্যন্ত বিরক্ত তিনি। প্রতাপ বাবুর অভিযোগ, ‘জনপ্রতিনিধিরা এভাবে যদি অশ্রাব্য ভাষায় নিজেদের মধ্যে গালিগালাজ করতে থাকেন, তাহলে তো সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সংসদেই যান বা বিধানসভায় যান, তাঁরা তো সকলের জন্য কাজ করেন। আজকের তরুণ প্রজন্ম তাঁদের থেকে কী শিখবে?’
তিনি আরও বলেছেন, ‘রাতে যে এতক্ষণ দ্বিতীয় হুগলি সেতু আটকে রাখা হল, এত পুলিশকর্তা সেখানে গেলেন, তাঁরা কি বাবুল সুপ্রিয় বা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে? সেই কারণে আমি কলকাতা ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটকে ইমেল পাঠিয়েছি। বলেছি, আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। যাতে সকলে বুঝতে পারেন যে আইন সবার জন্য সমান’।
প্রতাপ বসু জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ হলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করত। কিন্তু দু’জনেই প্রভাবশালী বলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ।
কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ না নিলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ দেননি দুই প্রতিনিধির কেউই।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৯ টা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়ান বাবুল সুপ্রিয় এবং অভিজিৎ গাঙ্গুলি। বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, সংকীর্ণ রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে হুটার বাজিয়ে যাচ্ছিল বিজেপি সাংসদের গাড়ি। অন্যদিকে, তমলুকের সাংসদ পাল্টা বাবুলের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ, তাঁর উপর হামলার অভিযোগ তোলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন