শুধুমাত্র আর জি করের অধ্যক্ষের পদই নয়, এবার সরকারি চাকরি ছাড়ার কথা জানালেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার সকালেই অধ্যক্ষের পদ থেকে নিজের ইস্তফা ঘোষণা করেন সন্দীপ ঘোষ। জানা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যভবনে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পর সন্দীপ ঘোষ জানান, "একাধিকবার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। পদ থেকে সরানোর জন্য রাজনৈতিক রঙ দেখা হচ্ছে। অনেকেই এর সাথে জড়িত। সঠিক কথা বলি বলেই সকলের সমস্যা হয়। তাই এবার সরকারি চাকরিও ছেড়ে দিলাম।"
সোমবার সাংবাদিকদের সামনে নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়ে সন্দীপ বলেন, ‘‘আমার ইস্তফাই ছাত্রছাত্রীদের কাম্য ছিল। সারা রাজ্যের এটাই কাম্য ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। আশা করব, এবার ছাত্রছাত্রী এবং জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে ফিরবেন। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন মাধ্যমে আমি যে কটূক্তি সহ্য করেছি, আমার পরিবার, সন্তানরা যা সহ্য করেছে, তাতে বাবা হিসাবে আমি লজ্জিত। তাই আমি পদত্যাগ করলাম। আশা করি আপনারা ভাল থাকবেন।’’
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, "আমার মুখে কথা বসিয়ে রাজনীতির খেলা চলছে। বিরুদ্ধ গোষ্ঠী এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে। আমি কোনও দিন এ সব খেলা খেলিনি। আমি সরকারি কর্মচারী। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করব"।
তবে অধ্যক্ষের মুখের কথা মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। তাঁরা অধ্যক্ষের লিখিত পদত্যাগপত্রের দাবি তোলেন। সেই সঙ্গে দাবি ছিল, সন্দীপকে ক্ষমা চাইতে হবে। এর পরেই ইস্তফাপত্র জমা দিতে স্বাস্থ্য ভবনে যান সন্দীপ।
সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, "আমি বরাবর স্পষ্টবক্তা। কেউ চুরি করলে তাকে চোর বলি। আর স্পষ্টবক্তাদের শত্রু বেশি হয়। এই আরজি কর আগে ছিল ঘুঘুর বাসা। তোলাবাজি চলত দেদার। তাতে নেতাদের মদতও ছিল। আমি এসে বন্ধ করেছি সে সব। এখানে এখন তোলাবাজি হয় না। আগে জন্ম বা মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে অনেক অপেক্ষা করতে হত। ঘুষ দিতে হত। আমি তা বন্ধ করেছি। তিন বছর আগের আরজিকর আজকের চেয়ে অনেক আলাদা।"
তিনি বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে কয়েক জন অধ্যাপক জড়িত। তাঁরা আমার সঙ্গে পেরে ওঠেননি। তাই আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন