

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রাক্তন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যকে তলব করল পুলিশ। শনিবারর অর্থাৎ আজ সন্ধ্যাতেই তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি যাদবপুরে ঘটে যাওয়া অশান্তির ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বাম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। টিএমসিপি, এবিভিপিকে একযোগে আক্রমণ করছেন সৃজন। এই আবহেই যাদবপুর থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, যাদবপুরের ঘটনার বিষয়ে সৃজনের কাছে যে তথ্য আছে বা ছবি, ভিডিও যাবতীয় যা আছে তদন্তের স্বার্থে তা জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ৫ মার্চ এক সাংবাদিক বৈঠকে এসএফআই ওই ঘটনার কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছিল। সাংবাদিক বৈঠকে সৃজন ভট্টাচার্যও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরই পুলিশ তাঁকে তলব করে। এসএফআই সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সৃজন প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ নিয়ে থানায় যাবেন।
এসএফআইয়ের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, "তদন্তে আমি পূর্ণ সহযোগিতা করব। ঘটনার সময় আমি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিলাম না। তবে সমাজমাধ্যম থেকে সংগৃহীত কিছু ছবি ও ভিডিও আমার কাছে আছে, যা পুলিশের হাতে তুলে দেব। কিন্তু প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে কেন এত দেরি হচ্ছে? তাদের কেন তলব করা হচ্ছে না? আমাকে ডেকে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে।"
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এসএফআই, আইসা, ডিএসএফ (ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস ফ্রন্ট) –এর সদস্যরা। অভিযোগ, বিক্ষোভ দেখানোর সময় পড়ুয়াদের উপর দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় চোখে গুরুতর চোট পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। পাল্টা তাঁর অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙেছেন। তাদের ছোড়া ঢিলে তিনি আহত হয়েছেন।
এসএফআই-এর দাবি, ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কাতেই আহত হন ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়। তাদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনার স্বপক্ষে একাধিক ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়। তবে এই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। বর্তমানে ইন্দ্রানুজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং শনিবার তাঁর ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন