

চলতি মাসের শুরুতে ওয়েবকুপার বৈঠক ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বৈঠক থেকে বেরোনোর সময় আক্রান্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয় জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানাল, যাদবপুরে কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে মিটিং বা সেমিনার করা যাবে না। পাশাপাশি বেঞ্চের প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি জানা সত্ত্বেও কেন রাজনৈতিক নেতা সেখানে গিয়েছিলেন?
মামলাকারীর আবেদন ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। প্রতি গেটে রাজ্য পুলিশ দেওয়া হোক। স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হোক আর্জি ছিল। বৃহস্পতিবার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাদবপুরে গুণ্ডারাজ চলছে। ২০১৪ সালে শ্লীলতাহানির মামলা রুজু হয়েছিল। একাধিক এফআইআর হয়। বশ মানে না এমন কিছু ঘোড়া ছুটে বেড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা নির্দেশ দেবেন মাথা পেতে নেব, শুধু শান্তি চাই"। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় কিছু করছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেটা হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এরপরেই প্রধান বিচারপতি বেঞ্চের প্রশ্ন, “বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের কোনও ক্ষমতা থাকে না। তাদের হাতে কোনও অস্ত্র থাকে না। কেন আপনারা রাজ্যের পুলিশের সাহায্য নিতে চান না?”
বিশ্ববিদ্য়ালয়ের তরফে আইনজীবী বলেন, “আমরা চিঠি লিখেছি। উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকে টাকার কথা জানানো হয়েছে"। এরপরই বিচারপতি বলেন, “বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করুন। রাজনৈতিক রং বাদ দিয়ে কেন এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল, সেটায় নজর দিন। ভাইস চ্যান্সেলর-সহ বাকিদের ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। তাঁরা চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রথমে যারা ছাত্র নয় তাদের বের করতে হবে"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন