বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে ধর্না দিচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেই ধর্না অন্যত্র সরানোর দাবিতে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সেনাবাহিনী। এই মামলার শুনানি হতে পারে শুক্রবার।
সোমবার আদালতে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, হাইকোর্টের নির্দেশেই সরকারি কর্মচারীরা ধর্না দিচ্ছিলেন। কিন্তু আদালত নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তারপরেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের আন্দোলন অন্যত্র নিয়ে যেতে হবে।
শহিদ মিনার চত্বরটি মূলত ভারতীয় সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন। সেখানে যে কোনো কাজ করার জন্য সেনাবাহিনীর অনুমতির প্রয়োজন হয়। সরকারি কর্মীদের ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে আর অনুমতি দিতে চাইছে না সেনাবাহিনী। শুক্রবার বিচারপতি মান্থার এজলাসে মামলাটির শুনানি হতে পারে।
অন্যদিকে, আজকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীদের যৌথ সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আগামীকালও চলবে এই কর্মসূচি। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা ছাড়াও, সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ এবং যোগ্য অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবি নিয়ে ধর্না দেবেন তাঁরা। রাজ্য থেকে প্রায় ৬০০ জন সরকারি কর্মচারী দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন। দু'দিনের কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে ডেপুটেশন দেবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ডিএ নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার ও আন্দোলনকারী কর্মচারীদের একসাথে আলোচনার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে রাজী। কিন্তু তাঁদের দেওয়া শর্ত মানতে হবে রাজ্যকে। শর্তগুলি হলো - রাজ্য সরকারকে আগে সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ধর্মঘটে যোগ দেওয়া কর্মীদের যে বেতন কাটা হয়েছিল তা ফিরিয়ে দিতে হবে। সূত্রের খবর, আগামী ১৭ এপ্রিল দু'পক্ষ আলোচনাতে বসতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন