

দু দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমুল এবং বিজেপি ছেড়ে CPIM-এ যোগ দিলেন কয়েকশ মানুষ। মালদহের চাঁচল, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি এবং বীরভূমের রামপুরহাটের কয়েকশ মানুষ সিপিআইএমে যোগ দিলেন। যোগদানকারীদের বক্তব্য, রাজ্যে একমাত্র বিকল্প সিপিআইএম। তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ই সমান দুর্নীতিগ্রস্ত।
১) দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি: শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে শাসকদল তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগ দিয়েছেন ৪০০ জনের বেশি মানুষ। শনিবার সন্ধ্যায় রায়দিঘির গিলেরহাট অঞ্চলে হওয়া এক সমাবেশে তাঁদের হাতে কাস্তে-হাতুড়ির পতাকা তুলে দিয়েছেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি। যোগদানকারীরা জানিয়েছেন, তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অত্যাচারে অতিষ্ট তাঁরা। তাই সিপিআইএমে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।
২) মালদহের চাঁচল: শনিবার বিকালে মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের জালালপুর অঞ্চলের রামকৃষ্ণপুর বুথে ২২৫টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিআই(এম)এ যোগ দিয়েছেন। এদিনের যোগদানের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের মালদহ জেলা কমিটির সদস্য মেহেবুব আলম চৌধুরী সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল আমলে পঞ্চায়েত সহ সর্বস্তরে দুর্নীতি এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শাসক দলের নেতারা সম্পদের পাহাড়ের উপর বসে আছে, অন্যদিকে সাধারন মানুষের জীবন সঙ্কটে। তাই মানুষ বিকল্প হিসেবে সিপিআইএমকে বেছে নিয়েছেন।
৩) দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ: কুমারগঞ্জের বটুন অঞ্চলের শতাধিক তৃণমূল কর্মী শনিবার ঘাসফুলের পতাকা ছেড়ে লাল পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন জেলার সিপিআইএম নেতৃত্ব।
৪) বীরভূমের রামপুরহাট: রামপুরহাটে অবশ্য শাসকদল তৃণমূল থেকে নয়, বিজেপি ছেড়ে সিপিআইএমে যোগ দিয়েছেন ১০০ তফশীল পরিবার। শনিবার রামপুরহাট-২ ব্লকের বুধিগ্রাম অঞ্চলের বাতিনা গ্রামের বিজেপির প্রাক্তন জেলা কমিটির সদস্য কার্তিক মাল সহ প্রায় ১০০ তফশীল পরিবারের সদস্য বিজেপি ছেড়ে সিপিআই(এম)-এর পতাকা তুলে নিয়েছেন।
গত সপ্তাহেই অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি সহ প্রায় ৬০০ জন সিপিআইএমে যোগ দিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতে নদীয়ার তেহট্টেও শাসক দল ছেড়ে ৩০০ জন সিপিআইএম-এ যোগদান করেছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের একের পর এক জেলায় শাসক শিবির থেকে সিপিআইএম শিবিরে যোগদান করছেন হাজার হাজার কর্মী সমর্থক। তৃণমূল বিষয়গুলি গুরুত্ব দিতে নারাজ হলেও সিপিআইএমের বক্তব্য পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ হলে তৃণমূল পরাস্ত হবে। মানুষ তৃণমূলের ওপর আস্থা হারাচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন