

এবার পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শীট মিললো চুড়িদারের প্যাকেটে। ঘটনাটি ঘটেছে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব নিয়োগ দুর্নীতিতে বর্তমানে জেলবন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভায় এলাকায়। ওএমআর শীটগুলি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা সংক্রান্ত।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শীট বিকৃত করার খবর সকলেই জানেন। এই দুর্নীতিতেই জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁরই বিধানসভা এলাকায় পোশাক বিক্রেতার দোকানে পাওয়া গেলো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওএমআর শীট। এগুলি কোথা থেকে এলো তা এখনও জানা যাচ্ছে না।
সামনেই পয়লা বৈশাখ। বাঙালি এখন নতুন জামা-কাপড় কিনতে ব্যস্ত। বেহালার ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের একটি পোশাকের দোকানেও পোশাক কেনার ভিড় ছিল। সেই সময়ই ওএমআর শীটটি নজরে পড়ে। চুড়িদারের প্যাকেটে ছিল ওএমআর শীটগুলি। এগুলো ২০১৬, ২০১৮ সালের ওএমআর শীট। কিন্তু কী ভাবে চুড়িদারের প্যাকেটে এগুলি এল তা খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পোশাক বিক্রেতা বলেন, 'উৎসবের মরশুম। একসাথে অনেক পোশাক কেনা হয়। পোশাকের ভাঁজ ঠিক রাখতে মাঝে কাগজ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। পোশাকগুলি কেনা হয়েছিল নিউমার্কেট থেকে। ওখান থেকেই ওএমআর শীটগুলি দেওয়া হয়েছিল।'
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার ওএমআর শীট তিন বছর সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। তারপর নষ্ট করে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ওএমআর শীটগুলি খোলা বাজারে এইভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে কীভাবে? এর কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের শান্তিনিকেতনে একটি কেকের দোকানে পাওয়া গিয়েছিল ওএমআর শীট। সেখানে কেকের মোড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল ওএমআর শিটগুলি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন