
রাজ্যে কমছে সাধারণ কলেজে ভর্তির চাহিদা। গতানুগতিক পড়াশোনা থেকে মুখ ফেরাচ্ছে পড়ুয়ারা। রাজ্য বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্যে তা পরিষ্কার।
স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়ার জন্য পড়ুয়াদের মধ্যে আগের মতো আর আগ্রহ নেই। ফলে রাজ্যের কলেজগুলিতে আসন সংখ্যা ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে। মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং বা এই ধরণের অন্যান্য কলেজে ভর্তির চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই সাধারণ কলেজগুলির আসন ফাঁকা থাকছে বলে মত শিক্ষামন্ত্রীর।
রাজ্য বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বজবজের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব জানান, 'বজবজে মাত্র একটি কলেজ রয়েছে। দিন দিন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে একটি কলেজের প্রয়োজন রয়েছে'। তাঁর জবাবে ব্রাত্য বসু বলেন, "চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের কলেজগুলিতে অর্ধেক আসন ফাঁকা। ফলে, পরিকাঠামো ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগে তো তা বিবেচনা করতেই হবে। কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন ব্যবস্থায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। তবে সাড়ে চার লক্ষের মতো আসন ফাঁকাই রয়েছে।"
পাশাপাশি, রাজ্যে বেসরকারি স্কুলগুলির মাত্রাতিরিক্ত ফি নিয়েও বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, স্কুলের ফি বৃদ্ধির কারণে অভিভাবকদের উপর চাপ বাড়ছে, স্কুলে কাচ ভেঙে পড়া থেকে শুরু করে নানান অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী দিনের বেসরকারি স্কুলে যেমন খুশি ফি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিল আনা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন