

এসএসসি-র প্রকাশিত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম রয়েছে ‘দাগি অযোগ্যদের’। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কমিশন কীভাবে ‘অযোগ্যদের’ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল এবং তাঁদের ইন্টারভিউতে ডাকা হল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
শনিবার প্রকাশিত হয় এসএসসি-র একাদশ-দ্বাদশের ইন্টারভিউয়ের তালিকা। যেখানে অনেকে লিখিত পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের মধ্যে ৬০ পেয়েও ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাননি বলে অভিযোগ। তালিকায় নাম নেই চাকরিহারা 'যোগ্য' শিক্ষক তথা এসএসসি আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময় মণ্ডলের। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫১। অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ২০ নম্বর যোগ করে হয়েছে ৭১। কিন্তু ডাক পাননি তিনি।
আবার অনেকে প্রাথমিক স্কুলে চাকরির অভিজ্ঞতা দেখিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেয়েছেন। তাছাড়া তালিকায় এমন বহু নাম রয়েছে যাঁরা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’। সমস্ত কিছু মিলিয়ে কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। আগামী বুধবার বিচারক অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, এসএসসি-র তালিকায় একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে আংশিক সময়ের জন্য চাকরি করে তাঁদের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন। যার ফলে অনেক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিতর্কের মাঝেই মুখ খুলেছে শিক্ষা দফতর। এসএসসি-র ইন্টারভিউ তালিকা নিয়ে শিক্ষা দফতর জানায়, এই লিস্ট তৈরি হয়েছে পরীক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া তথ্য এবং প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে। এরপর সকলের তথ্য যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। যেটি হবে অঞ্চল ভিত্তিক। অযোগ্য কেউ থেকে থাকলে তিনি অবশ্যই বাদ যাবেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া একদম স্বচ্ছ হবে।
অন্যদিকে এই তালিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আজ দুপুর ১২টা থেকে বিধাননগরের করুণাময়ীতে জমায়েত করেছিলেন শিক্ষক নিয়েগের পরীক্ষায় বসা নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রায় সাড়ে ৬টা নাগাদ বলপূর্বক পুলিশ তাঁদের আন্দোলনস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে। মহিলা চাকরিপ্রার্থীদেরও টেনে হিঁচড়ে, রাস্তা থেকে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন