

এসআইআর প্রক্রিয়ায় বিএলএ (BLA) নিয়োগের নিয়মে পরিবর্তন আনল নির্বাচন কমিশন। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী এবার থেকে সংশ্লিষ্ট বিধানসভার যে কোনও ভোটারকে বিএলএ হিসেবে নিয়োজিত করতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলি। নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকার সমালচনা করল তৃণমূল কংগ্রেস।
১১ নভেম্বর অর্থাৎ গতকাল নির্বাচন কমিশনের এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগে সংশ্লিষ্ট বুথের ভোটারই বিএলএ (BLA) হতে পারতেন। কিন্তু এবার থেকে বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও ভোটার যে কোনও বুথের বিএলএ হতে পারবেন। এরপরই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সমাজমাধ্যমে লেখেন, "মাননীয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA) নিয়োগে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সময়োপযোগী এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। পুরোনো নির্দেশিকাতে বর্ণিত ছিলো যে শুধুমাত্র উক্ত বুথের ভোটারই ঐ বুথের BLA হতে পারবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নতুন নির্দেশিকাতে উল্লেখ করেছেন যদি কোনো বুথে BLA নিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় তবে ঐ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্য যে কোনো বুথের ভোটার অন্য কোনো বুথেও BLA হতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের BLA নিয়োগের এই পরিধি বৃদ্ধিতে সকল রাজনৈতিক দল উপকৃত হবেন"।
তিনি আরও বলেন, "এতে অনুপ্রবেশকারী ও মৃত ভোটারদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে। নতুন এই নির্দেশিকা শক্তিশালী ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরীতে আরো বেশী কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়"।
শাসকদল তৃণমূল অবশ্য কমিশনের এই নির্দেশিকা পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কমিশনের ২০২৩ সালের নির্দেশিকা অনুযায়ী: “BLA-কে সেই নির্দিষ্ট পার্ট বা বুথের ভোটার হতে হবে, যার জন্য তাকে নিয়োগ করা হচ্ছে।”
কিন্তু নতুন সংশোধিত নির্দেশে লেখা হয়েছে: “যদি একই পার্টের ভোটারদের মধ্যে থেকে BLA পাওয়া না যায়, তাহলে একই বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও নিবন্ধিত ভোটারকে BLA হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে।”
তৃণমূল জানায়, "এতে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, BLO-দের অবশ্যই একই বুথ বা অন্তত একই পোলিং স্টেশনের হতে হয়। তাহলে শুধুমাত্র BLA-দের ক্ষেত্রেই এই ব্যতিক্রম কেন? কারণ বিজেপি নিজেদের বুথে স্থানীয় এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছে না, তাই বাইরের লোক এনে ভিতর থেকে ভোট প্রক্রিয়া বিকৃত করার পথ খুলে দিতে চাইছে"।
শাসক দল আরও জানায়, "এটি আরও একবার প্রমাণ করে যে, নির্বাচন কমিশন একসময় ছিল স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা, আজ তা পরিণত হয়েছে শাসক দলের আজ্ঞাবহ শাখায়। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই — অমিত শাহের সহকারি মন্ত্রকের সচিবকেই যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়, তখন তো এ ধরনের নিয়ম শাসক দলের সুবিধামতোই বদলানো হবে"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন