ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করল আদালত। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুকুল রায় সম্পর্কে নির্দেশও খারিজ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বার রশিদীর ডিভিশন বেঞ্চ মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের নির্দেশ দিয়েছে। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত মামলা ফেরত পাঠায় কলকাতা হাইকোর্টে। আজ সেই মামলায় বেনজির সিদ্ধান্ত নিল আদালত। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের নির্দেশ দিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গে (সম্ভবত ভারতেও) এই ধরণের রায় প্রথম। মাননীয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মাননীয় বিচারপতি মহম্মদ শব্বার রশিদীর সমন্বয়ে গঠিত কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শ্রী মুকুল রায়কে তাঁর দলত্যাগের কারণে বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করেছে"।
তিনি আরও জানান, বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমার দায়ের করা একটি তীব্র বিতর্কিত রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই ঐতিহাসিক রায় দেওয়া হয়েছে। শ্রী মুকুল রায়কে বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করে বিচারকরা মাননীয় স্পিকারের দেওয়া আদেশ বাতিল করেছেন, যিনি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করতে অস্বীকার করেছিলেন। সময় লাগলেও শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হয়। আমি এই ঐতিহাসিক রায়কে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই"।
প্রসঙ্গত, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। পরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তবে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। বিজেপি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়েছিল বিধানসভার স্পিকারের কাছে। কিন্তু তিনি সম্মতি দেননি, বরং মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন দাবি করে তাঁকে পিএসি-র চেয়ারম্যান (যা সাধারণত বিরোধী দলের কোনও বিধায়ককে করা হয়) নিযুক্ত করেছিলেন। যার তীব্র বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের।
মুকুল রায়কে পিএসি-র চেয়ারম্যান নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে যান কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। সেই মামলারও শুনানি হয় একই বেঞ্চে। কলকাতা হাইকোর্ট মুকুল রায়ের পিএসি চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তও খারিজ করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন