

বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার চায় না পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতার পালাবদল হোক, এমনটাই দাবি বিজেপি সাংসদের। বিজেপি তৃণমূলকে আদৌ হারাতে চায় কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, “আমার বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার এবং ভোটে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরানোর সব রকমের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সেই উদ্দেশ্যের ধারেকাছেও আজ পর্যন্ত আমি গিয়ে উঠতে পারিনি। এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য কিছু করেনি।“
তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকশন দেখে আমার মনে হয়েছে, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির বদল করতে চায় না। কেন্দ্রীয় সরকার যদি না চায় তাহলে সেই বদল হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মতো শাসনহীন, প্রশাসনহীন রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করা হবে না কেন, সেটাই তো আমার কাছে একটা বিরাট প্রশ্ন।“
বিজেপি-র পক্ষে তৃণমূলকে সরানো সম্ভব কি না, এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সরাসরি কোনও উত্তর না দিয়ে বলেন, “এটা অনেক গভীর প্রশ্ন। সেই প্রশ্নে আজই যাব না আমি। কিছুদিন বাদে হয়ত যাব।“
হিন্দিভাষী নেতাদের বাংলায় এনে বিজেপির প্রচার করা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “এই হিন্দি বলয় থেকে নেতা এনে এখানে ভোট করানো যাবে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মন, মেজাজ, তাদের অভিমান, এসব দিল্লিওয়ালা নেতারা বোঝেন না। পশ্চিমবঙ্গ সম্পূর্ণ একটি অন্য জায়গা। এখানকার মানুষ, তাদের চিন্তাভাবনা, তা বাকি ভারত বিশেষকরে উত্তরভারতের সঙ্গে একদমই মিলবে না। তাই সেখান থেকে নেতা পাঠিয়ে, ভোট করিয়ে, জিতিয়ে বেরিয়ে যাব, এটা অবাস্তব চিন্তাভাবনা।“
পশ্চিমবঙ্গে পুলিশকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে এনে ভোট করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
ইডি, সিবিআই-এর তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, “গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। একজনকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে? এখন আমার মনে হয়, সিবিআই এবং ইডি-র বেশ কিছু বড় এবং মেজো কর্তা বিজেপি –বিরোধী রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট।“
অভিজিৎ গাঙ্গুলির এই বিস্ফোরক দাবিগুলি প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “উনি ওঁর মতগুলি যথাযোগ্য জায়গায় বললে সেই নিয়ে আলোচনা হবে।“
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন