SSC: 'নিয়োগ প্রক্রিয়া চলুক', এসএসসি-র নয়া বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত মামলায় হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট
২০২৫ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নয়া বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু চাকরিহারাদের সেই আবেদন শুনল না হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এখনই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা হবে না।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরিদৌস শামিম আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, ‘‘২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসএসসি-র নতুন বিজ্ঞপ্তিতে অনেক বিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির অনুরূপ নয়। নতুন এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়ম বদল হলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সুযোগ আরও কমে যাবে"।
এরপরেই বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, এসএসসির নয়া বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত বিষয়ে এখনই হস্তক্ষেপ করা হবে না। আপাতত স্বাভাবিক ভাবেই চলতে দেওয়া হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। জুলাই মাসে এই মামলা ফের শুনবে আদালত। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যদি কোনও অসুবিধা বা সমস্যা তৈরি হয়, তখন বিষয়টি দেখবে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে আনা হয়েছে অনেক বদল। নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার লিখিত পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরের, ২০১৬ সালে যেটা ছিল ৫৫ নম্বর। এছাড়া, শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর ৩৫ নম্বরের পরিবর্তে থাকছে মাত্র ১০ নম্বর। শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপরেও থাকছে ১০ নম্বর।
পরীক্ষার বিধিতে নানা বদল আনা নিয়ে হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টে মামলাকারীদের দাবি, ২০২৫ সালের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি ২০১৬ সালের মতোই করতে হবে। না হলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ফের বঞ্চিত হবে। এছাড়া লিখিত পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানো, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপরেও থাকছে নির্দিষ্ট নম্বর। ফলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা যোগ্য প্রার্থীরা পিছিয়ে পড়বেন। সেই কারণেই এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্চ করে মামলা দায়ের করেছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
অবকাশকালীন বেঞ্চের অনুমতিতে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ওই মামলাগুলি করেছিলেন। মামলাকারীরা রি-প্যানেলের দাবি করেন। সেই মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে ছিলেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন