

সোমবার এসএসসি নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা হন ২৫,৭৫৩ জন। এঁদের মধ্যে প্রায় ১৯ হাজার জন যোগ্য চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন বলে দাবি করেছে এসএসসি। হাইকোর্টের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে শনিবার বাম যুব সংগঠন এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। বাম যুব সংগঠনের সেই অভিযানে সামিল হন যোগ্য চাকরিহারাদের একাংশ। সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ডিওয়াইএফআই, এসএফআই সহ বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্বে শনিবারের বিক্ষোভ মিছিল যাওয়ার কথা ছিল এসএসসি ভবনের সামনে। এরপর তাঁদের স্কুল সার্ভিস কমিশনকে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু এদিন দুপুরে ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই বিক্ষোভ মিছিল সল্টলেক এসএসসি ভবনের সামনে পৌঁছাতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।
জানা গেছে, করুণাময়ীতে আচার্য সদনের সামনের অংশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ যাতে বিক্ষোভকারীরা এগোতে না পারেন। কিন্তু বাম ছাত্র-যুবরা সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এরপর দুপক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। কিছু সময় পর শুরু হয় পুলিশের ধড়পাকড়। জানা গেছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় অভিযোগকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের অন্যায়ভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে। বিক্ষোভকারীদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আটকদের মুক্তির দাবিতে আচার্য সদনের সামনেই বিক্ষোভে বসেছেন বাকিরা।
মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা এসএসসি ভবনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ অন্যায় ভাবে আমাদের আটকে দেয়। আমাদের অনেককে আটক করেছে। তাঁদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।’’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন