
সম্প্রতি বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছিল কলকাতা পুরসভা। সেই রেশ এখনও কাটেনি। এই আবহেই আর এক মেয়র পারিষদের এলাকা ট্যাংরায় একটি বহুতল হেলে পড়ল। ওই বহুতলটি দ্রুত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। মনে করা হচ্ছে, মেয়র পারিষদের এলাকায় এই ঘটনা ঘটায় অস্বস্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে পুরসভা।
বুধবার সকালে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে আচমকাই একটা বহুতল এক দিকে হেলে পড়ে। তার পাশেই রয়েছে প্রায় সমান উচ্চতার আর একটি বহুতল। জানা যাচ্ছে, ওই বহুতলটি নির্মীয়মাণ অবস্থায় থাকায় কোনও বাসিন্দা ছিল না। তবে কয়েকজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তাঁরা এখন সুস্থ আছেন। এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহার। সেখানে আচমকা বহুতল হেলে পড়ায় অস্বস্তিতে কলকাতা পুরসভা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্যাংরার ওই এলাকায় সমস্ত বহুতলই নিয়ম না মেনে বেআইনি ভাবে তৈরি হয়েছে। এমনকি এ বিষয়ে অবগত ওই এলাকার কাউন্সিলরও। এমনটাই অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। আচমকা বহুতলটি হেলে পড়ার ফলে আশঙ্কা বাড়ছে বাসিন্দাদের। তাঁদের আশঙ্কা, যদি বহুতলটি আরও হেলে যায়, তাহলে পাশের বাড়িটির ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বহুতলটি দ্রুত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে বহুতল ভাঙার কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ‘বিল্ডিং’ বিভাগের প্রধান মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে। মেয়র পারিষদদের এলাকাতেই বারংবার এই ধরণের ঘটনার ফলে পুরসভার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে পুরসভা।
সম্প্রতি বাঘাযতীনে একটি বহুতল বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ার পর পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারকে দায়ী করেছিলেন মেয়র। তাঁর দাবি, বাম আমলে এই বেআইনি বহুতল নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁর আরও দাবি, কলোনি এলাকায় বাড়ির সঠিক ‘প্ল্যান’ নেই। বাসিন্দাদের তো সরিয়ে দেওয়া যায় না। তবে তৃণমূল সরকার আসার পর ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেন মেয়র।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন