শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এর আগে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। শর্ত না মানলে সুজয়কৃষ্ণের জামিন বাতিল করতে পারবে নিম্ন আদালত।
শুক্রবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোঘের বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করেছে 'কালীঘাটের কাকু'র। তবে তাঁর জন্য কয়েকটি শর্ত দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। তাঁর মোবাইল নম্বর তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছে দিতে হবে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দিতে হবে। মামলার কোনও প্রমাণ নষ্ট করতে পারবেন না তিনি। কলকাতার বাইরে যাওয়ারও অনুমতি মেলেনি।
উল্লেখ্য, নিয়োগ মামলায় এক কথোপকথনের সূত্র ধরে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এরপর তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়েও বিস্তর টানাপড়েন হয়। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। গত বছর ডিসেম্বর মাসে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে গৃহবন্দি হয়ে বেহালার বাড়িতে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ।
ইডি জানিয়েছিল, তদন্তে নেমে কালীঘাটের কাকুর বাড়ি থেকে তিনটি সংস্থার নথি উদ্ধার হয়। ওই কোম্পানিগুলি ভুয়ো বলেই দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। কোম্পানির সাথে সুজয় কৃষ্ণ বাবুর কী যোগ তাও জিজ্ঞাসা করা হয়। এমনকি বাজেয়াপ্ত করা ফোন (সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর ফোন) থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে জেরা করে ইডি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন