

হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বহাল রাখা সংক্রান্ত রায় নিয়ে অখুশি প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। অন্যদিকে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে কেউ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালে, তিনি সেই মামলা লড়বেন।
বুধবার ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির রায়কে খারিজ করে বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্র এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল করলে ওই শিক্ষক এবং তাঁদের পরিবারের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে আদালত চাকরি বাতিল করছে না।’’ এরপরই প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। আবীর খেলায় মেতে ওঠেন তাঁরা।
তবে এই রায় নিয়ে অখুশি প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বহালের ক্ষেত্রে যে যুক্তি দেখিয়েছে, সেই যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, "যে কারণ দেখিয়ে ৩২ হাজার চাকরি বহাল থাকল তা ঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে ২৬ হাজার জন চাকরি হারালেন তাঁরাও তো বহু বছর ধরে চাকরি করছিলেন। এই যুক্তি অনুযায়ী তাঁদেরও বাদ যাওয়ার কথা নয়। তবে ডিভিশন বেঞ্চ নিজেদের রায় জানিয়েছে। আমি আগে অন্য রায় দিয়েছিলাম। আমার যেটা মনে হয়েছিল বিচারপতি হিসেবে সেটাই করেছিলাম। এর বেশি কিছু আমি বলব না।"
অন্যদিকে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে যদি কেউ শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন এবং মামলাকারীরা তাঁর কাছে মামলা লড়ার আর্জি জানালে অবশ্যই তিনি লড়বেন।
বিকাশ রঞ্জন সিপিআইএম-এর সাংসদ। এই মামলা লড়া নিয়ে দল তাঁর উপর কোনও নির্দেশ চাপিয়ে দেবে না বলে জানিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, "দলগত ভাবে আইনি বিষয়ে বিকাশ রঞ্জনকে কোনো দিন কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়নি, এখনও হবে না। তিনি পেশাগতভাবে একজন আইনজীবী। তাঁর নিজের যা সিদ্ধান্ত সেটা তিনিই নেবেন। দল এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।"
উল্লেখ্য, ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে খুশি তৃণমূল। এই রায়ের পরই সমাজমাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন জানান রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও বলেন, ‘‘আমি সবচেয়ে খুশি যে, আমার চাকরিরত ভাইবোনেদের চাকরি থাকল।’’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন