

এসএসসি-র ইন্টারভিউ তালিকায় কেন 'দাগি অযোগ্য'দের নাম থাকবে? অবিলম্বে ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি পাওয়া 'অযোগ্য'দের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারক অমৃতা সিনহা।
সদ্য প্রকাশিত এসএসসি-র ইন্টারভিউ তালিকা অস্বচ্ছ দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরীপ্রার্থীদের একাংশ। অনেকে লিখিত পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের মধ্যে ৬০ পেয়েও ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাননি বলে অভিযোগ। তালিকায় নাম নেই চাকরিহারা 'যোগ্য' শিক্ষক তথা এসএসসি আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময় মণ্ডলের। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫১। অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ২০ নম্বর যোগ করে হয়েছে ৭১। কিন্তু ডাক পাননি তিনি। আবার অনেকে প্রাথমিক স্কুলে চাকরির অভিজ্ঞতা দেখিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেয়েছেন। তাছাড়া তালিকায় এমন বহু নাম রয়েছে যাঁরা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’।
আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির জানান, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার কথা জানিয়েছিল এসএসসি। পার্শ্বশিক্ষকরাও ওই সুবিধা পাবেন কি না, এসএসসির কাছে জানতে চাওয়া হয়। তারা জানায়, অতিরিক্ত ১০ নম্বর পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কিন্তু ফলপ্রকাশের পরে জানা যায় অতিরিক্ত নম্বর দু’জন পার্শ্বশিক্ষককে দেওয়া হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব?
এসএসসি-র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। অভিযোগ সত্যি হলে ওই দু'জনের চাকরি হবে না। বিচারপতি সিনহা জানান, পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে কমিশন আদালতে জানাক। 'দাগি অযোগ্য'দের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। আগামি ২ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শিক্ষা দফতর অবশ্য জানিয়েছিল, এই লিস্ট তৈরি হয়েছে পরীক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া তথ্য এবং প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে। এরপর সকলের তথ্য যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। যেটি হবে অঞ্চল ভিত্তিক। অযোগ্য কেউ থেকে থাকলে তিনি অবশ্যই বাদ যাবেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া একদম স্বচ্ছ হবে।
অন্যদিকে, উত্তরপত্র পরিবর্তনের অভিযোগেও মামলা করেছিলেন চাকরীপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, প্রথমে প্রাথমিক উত্তরপত্র দেওয়া হলেও পরে চূড়ান্ত উত্তরপত্র প্রকাশ করে এসএসসি। যেখানে কিছু প্রশ্নের ক্ষেত্রে দুটি উত্তর ঠিক বলা হয়েছিল। পাশাপাশি ভুল উত্তর দিলেও নম্বর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। যা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সঠিক নিয়ম নয়। এই বিষয়ে আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন