

ফের একটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রয়োজনে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে গিয়ে কলকাতার একবালপুরর ওই নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও বহু জায়গায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই ধরণের একাধিক অভিযোগ আসায় পুলিশকে কড়া বার্তা দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুক্রবার তিনি কলকাতা পুরসভার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে একবালপুরের একটি বাড়িকে বেআইনি বলে চিহ্নিত করেন। তারপরই ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, "নির্মাণটি ভাঙার কাজে যেন কোনো বাধা না আসে। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। যত পুলিশ প্রয়োজন তত পুলিশ নিয়ে গিয়েই বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে হবে। পর্যাপ্ত পুলিশ দেবেন বন্দর এলাকার ডিসি"।
কলকাতা হাইকোর্টে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ প্রথম নয়। এর আগে বিধাননগর ও বালি পুরসভায় বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। বৃহস্পতিবারই হাওড়ার লিলুয়ায় একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি এও বলেছিলেন, আমার বাড়ি যদি বেআইনি হয় তাহলে সেটাও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা উচিত। আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ওই নির্মাণ ভাঙার সময়সীমা বেঁধে দেন বিচারপতি গাঙ্গুলি।
গতকাল নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি গাঙ্গুলি এও বলেছিলেন, বেআইনি নির্মাণকারীকে কোথাও পাওয়া না গেলে নেতাজী ইন্ডোরে পাওয়া যাবে। আবার গতকালই নেতাজী ইন্ডোরে তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মমতা ব্যানার্জি সহ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারাও। তাই অনুমান করা হচ্ছে, বিচারপতির এই মন্তব্য শাসকদলকে কটাক্ষ করে করা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন