

বিধানসভার হাজিরার খাতায় সই করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের প্রকাশ্যেই বিরোধিতা করলেন ফিরহাদ হাকিম! স্কুলের বাচ্চা নাকি যে সই করতে হবে, শুক্রবার বিধানসভায় এমনই বলতে শোনা গেল মমতা ব্যানার্জির অন্যতম ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে।
দলের সাথে যে ফিরহাদ হাকিমের কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে তার প্রমাণ এর আগেও পাওয়া গেছে। তবে মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ বেশী জলঘোলা করেননি। এবার প্রকাশ্যেই মমতা ব্যানার্জির নির্দেশ মানতেই অনীহা প্রকাশ করছেন এই হেভিওয়েট নেতা। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ বিধানসভায় ঢোকার সময় তাঁর দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের হাজিরা খাতায় সই করে ঢুকতে হবে। সেই মতো শুক্রবার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে রাখা হাজিরা খাতায় সই করতে বাধ্য হন ফিরহাদ হাকিমও। সাত দিন পর এই হাজিরার রিপোর্ট পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
কিন্তু এই প্রসঙ্গে বিধানসভায় ফিরহাদ জানান, 'আমরা সকলেই নিজেদের দায়িত্ব জানি। আমরা কোনো স্কুলের বাচ্চা নই যে সই করতে হবে। এই নিয়মের সাথে সহমত হতে পারছি না। দলের নির্দেশ তাই মানতে বাধ্য হচ্ছি'। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার এহেন মন্তব্য রীতিমতো অস্বস্তি বাড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।
শুধু ফিরহাদই নন। মমতার চালু করা নতুন নির্দেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও। তবে তিনি দলের নিয়মের সাথে সহমত কিনা তা জানাননি। মলয় ঘটক বলেন, '১১ বছর ধরে বিধায়ক রয়েছি। বিধানসভাতে আসছি। একদিনও কামাই করিনি'।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মসূচি থেকে দলের বিধায়কদের কড়া বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা ব্যানার্জি বলেন, 'আসি, যাই এই মনোভাব নিয়ে থাকলে চলবে না। অনেকেই আছে দেখছি বিধানসভায় আসছে না। এবার থেকে কেন আসছে না তার জবাব দিতে হবে। কারণ ওরা (বিরোধী দল) যখন তখন বিধানসভায় ভোট করতে বলছে। তাই সকলকেই উপস্থিত থাকতে হবে। আরও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। বিধানসভার অধিবেশন থেকেই হাজিরার খাতায় সই করে ঢুকতে হবে'।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন