
আগামী ৮ আগষ্ট আরজি কর কান্ডের একবছর পূর্ণ হতে চলেছে। বছরপূর্তির দিন ফের রাত দখলের ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক করে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্ট’ জানায়, রাত ১২টা থেকে পরের দিন ভোর ৪টে পর্যন্ত পথে থাকবে তাঁরা। হবে মশাল মিছিল। এছাড়া পরের দিন অর্থাৎ ৯ আগষ্টও একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৮ আগষ্ট আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রতিবাদে পথে নেমেছিল চিকিৎসক সংগঠন থেকে সাধারণ মানুষ। এ বছরের ৮ আগষ্ট আমজনতাকে ফের পথে নামার ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্ট। ওইদিন রাত ১২টায় শ্যামবাজারে জমায়েতের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এছাড়া সেদিন কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত মশাল মিছিল হবে বলেও জানান তাঁরা।
৯ আগষ্টও একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। সাংবাদিক বৈঠকে আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার জানান, ৯ আগষ্ট সকালে রাখিবন্ধন পালন করা হবে। বিকেলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ‘ক্রাই অফ আওয়ার’-এর সামনে জমায়েত কর্মসূচি রয়েছে। দেবাশিসের কথায়, ‘‘কলেজে কলেজে হুমকি সংস্কৃতির (থ্রেট কালচার) বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হবে এই জমায়েত থেকে।’’
দেবাশিস বলেন, ‘‘আমরা আবার চিৎকার করব। এখন রাজ্যে গুলিয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলছে। তবে আমরা কেউ সে দিনের রাতের কথা ভুলিনি। ভুলব না।’’
অন্যদিকে, ৯ আগষ্ট আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় পতাকা ছাড়াই এই অভিযান হবে বলে জানান তিনি। সেখানে উপস্থিত থাকবেন নির্যাতিতার বাবা মা। তবে শুভেন্দু অধিকারীর সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা।
দেবাশিসের কথায়, ‘‘দলীয় পতাকা ছাড়া নবান্ন অভিযানের কথা বললেও তা রাজনৈতিক কর্মসূচি বলেই মনে হচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, আরজি কাণ্ডে রাজ্য সরকার যেমন দায়ী, তেমনই সিবিআইও দায় অস্বীকার করতে পারে না। এখনও পর্যন্ত তারা অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করতে পারল না। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের এই ‘গাফিলতি’র দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না বিরোধী দলনেতাও।