

স্বাস্থ্য দপ্তরকে ঘুঘুর বাসা বানিয়ে গেছে বামফ্রন্ট সরকার। সব সিপিআইএম-র লোক বসে আছে। সোমবার এমনটাই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার পাল্টা দিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সোমবার বামেদের লালবাজার অভিযানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, 'মমতা ব্যানার্জি এখন বিরোধী নেত্রী নন। উনি এখন পুলিশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কত অপদার্থ হলে আজ এই অবস্থাটা তৈরি করেছেন তিনি। এখন তিনি যদি আয়নার সামনে না দাঁড়ান, মানুষ তাহলে কাঁচের ঘর ভেঙে চুরমার করে দেবে'।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, "উনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে শুধু কামানোর সুযোগ খুঁজেছেন। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। স্বাস্থ্য-শিক্ষাকে ধ্বংস করেছেন, হাসপাতালগুলিকে ধ্বংস করেছেন। আর এখন দাঁড়িয়ে নাটক করছেন। তাহলে ১৪ বছর কী করলেন? শুধু তামাশা করলেন? ওনার লোকজন - শ্যামাপদ দাস, সুশান্ত রায়, সুদীপ্ত রায়, সন্দীপ ঘোষ, সুহৃতা পাল, অভীক দে, বিরূপাক্ষ এরা কারা? তাদেরকে কেন এতকিছুর অধিকার দেওয়া হয়েছে? কিসের বিনিময়ে দিয়েছেন?"
প্রসঙ্গত, সোমবার নবান্নে পর্যালোচনা বৈঠকে আরজি কর প্রসঙ্গ নিয়ে বলতে গিয়ে বামফ্রন্ট সরকারকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, "সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন কলকাতায় অনশন করেছিলাম। একবারও তাঁরা আমার সাথে কথা বলেননি। যাঁরা আজকে বড় বড় কথা বলছেন তাঁরাই স্বাস্থ্য ডিপার্টমেন্টে ঘুঘুর বাসা ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ঘুঘুর বাসাটা আমরা ভাঙতে পারিনি। তার কারণ এখানে সব লেফট ফ্রন্টের লোক বসে আছে। লেফটিস্ট, সিপিআইএম-র লোক। আমি বলেছিলাম বদলা নয় বদল চাই। তাই আজ পর্যন্ত চাকরিতে হাত দিইনি। কারুর বিরুদ্ধে কোনও কেস করিনি। কিন্তু এটা আমাদের দুর্বলতা ভাববেন না।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন