

জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই ফের তাঁদের প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ নবান্ন সভাঘরে রাজ্য প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে অনেকে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না। আমি তো আন্দোলন করতে মানা করিনি। কিন্তু মানুষকে পরিষেবাটা দিন। আবার শুনছি অনেক চিকিৎসক নাকি বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দিচ্ছেন। এগুলো উচিত নয়।“
তিনি আরও বলেন, “আমি খুশি, যাঁরা আন্দোলন করছেন পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এটা বাংলা বলেই সম্ভব। অন্যান্য জায়গায় আন্দোলনকারীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি আপনারা (আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার) মনে করেন কিছু বলার আছে, তবে সব সময় স্বাগত। আপনারা ৫-১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আসুন, আমরা কথা বলতে পারি। স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করার জন্য যা যা করার দরকার, তা করতে হবে। আমি এখনও চাই না কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে।‘’
তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে আন্দোলনকারীরা যে ক’টি দাবি করে এসেছিলেন, তা সবই মেনে নেওয়া হয়েছে। এক মাস এক দিন হয়ে গিয়েছে, আমি অনুরোধ কবর, উৎসবে ফিরে আসুন, পুজোতে ফিরে আসুন। “
সিপিআইএম-কে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা আজকে বড় বড় কথা বলছেন তাঁরা স্বাস্থ্য ডিপার্টমেন্টে ঘুঘুর বাসা ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ঘুঘুর বাসাটা আমরা ভাঙতে পারিনি। তার কারণ লেফট ফ্রন্টের লোক বসে আছে। লেফটিস্ট, সিপিআইএম-র লোক। আমি বলেছিলাম বদলা নয় বদল চাই। তাই আজ পর্যন্ত চাকরিতে হাত দিইনি। কারুর বিরুদ্ধে কোনও কেস করিনি। কিন্তু এটা আমাদের দুর্বলতা ভাববেন না।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন