Ration Scam: শঙ্কর আঢ্যের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিস-সহ কলকাতার একাধিক জায়গার তল্লাশি ইডির

People's Reporter: শঙ্কর আঢ্যকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন ইডি আধিকারিকরা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর চিঠির মাধ্যমে মন্ত্রী শঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
শঙ্কর আঢ্য (বামদিক)
শঙ্কর আঢ্য (বামদিক)
Published on

রেশন দুর্নীতি মামলায় সোমবার সকাল থেকে কলকাতার অন্তত ছ’টি জায়গায় তল্লাশি শুরুকরেছে ইডি। এই তল্লাশির অভিযানের মধ্যে রয়েছে সদ্য গ্রেফতার হওয়া বনগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিস।

শঙ্কর আঢ্যের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অরবিন্দ সিংহের অফিস সল্টলেকে। সেখানে সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। চৌরঙ্গি এলাকাতেও একটি অফিসে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গেছে এই অফিসটিও শঙ্কর আঢ্যের।

গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে। তাঁকে বালু তথা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন ইডি আধিকারিকরা। আদালতে ইডি দাবি করেছিল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর চিঠির মাধ্যমে মন্ত্রী শঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। যদিও, সংবাদ মাধ্যমের সামনে বারবার ইডির করা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা।

আদালতে ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছিল, শঙ্করের ৯০টির বেশি ফরেক্স সংস্থা অর্থাৎ বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার সংস্থা রয়েছে। তবে সেই সংস্থাগুলি কোনোটাই শঙ্করের নামে নেই। রয়েছে তাঁর আত্মীয়, পরিজন এবং পরিচিতদের নামে।

ইডির তরফে আরও জানানো হয়, এই সংস্থার মাধ্যমে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা শঙ্কর বিদেশে লেনদেন করেছেন। অভিযোগ, টাকা আগে বিদেশি মুদ্রায় (মূলত ডলারে) পরিবর্তন করে তারপর তা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। কখনও টাকা সরাসরি দুবাই পৌঁছেছে, কখনও গিয়েছে বাংলাদেশ হয়ে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি প্রায় ১৭ ঘন্টা তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয় শঙ্কর আঢ্যকে। মাঝরাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সেদিন গ্রেফতার করে ইডি অফিসে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজনদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের।

শঙ্কর আঢ্য (বামদিক)
Milind Deora: কংগ্রেসে প্রতিভাবানদের স্থান নেই - দল ছেড়েই শিবসেনা-শিন্ধে গোষ্ঠীতে যোগ মিলিন্দ দেওরার
শঙ্কর আঢ্য (বামদিক)
Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়র ঠাঁই বদল, এসএসকেএম থেকে ফেরানো হল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in