
শুক্রবার মোদীর কলকাতা সফরের পর ফের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব উসকে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বললেন, "সব দলবদলু নেতারা মঞ্চ আলো করে বসে থাকাতেই প্রধানমন্ত্রীর দমদমের জনসভা কার্যত ফাঁকা ছিল"।
শুক্রবার কলকাতা সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এয়ারপোর্ট মেট্রো উদ্বোধনের পর দমদমে রাজনৈতিক সভা করেন তিনি। সেদিন মোদীর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং, তাপস রায়ের মতো তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতারা। কিন্তু এদিনের সভাতে আমন্ত্রণ পাননি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফলত সেদিনই বেঙ্গালুরুতে ধর্মগুরু রবিশংকরের আশ্রমে চলে যান তিনি।
রবিবার কলকাতায় ফিরেছেন দিলীপ। এরপরে মোদীর জনসভায় লোক না হওয়ায় আদি-নব্য দ্বন্দ্ব উস্কে কটাক্ষ করে বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে কারা ছিলেন? ভালো করে দেখবেন, সবকটা দলবদলু। শুভেন্দু অধিকারী, তাপস রায়, অর্জুন সিং, সজল ঘোষ - আর ক’টা নাম বলব! এঁরা বিজেপি? এঁদের দেখে মানুষ বিজেপি করতে আসবেন? এঁদের বিরুদ্ধেই তো বিজেপি লড়াই করেছিল। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কার্যত ফাঁকা থেকেছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় এত কম লোক! আমরা মিছিল-মিটিং করলেও তো এর থেকে বেশি লোক হয়। প্রধানমন্ত্রীর সভায় যে পাঁচ হাজার লোক হবে তা তো ভাবাই যায় না। দর্শকস্থলের ছবি দেখছিলাম। দেখলাম সবাই গল্প করছে। সেই জোশটাই নেই। এভাবে হয় নাকি?”
২০২৬-এর বিধানসভায় দলের সাফল্য নিয়ে দিলীপের মত, “খুব খারাপ, খুব খারাপ। লড়াইটা হতে চলেছে ২০২১-এর আসন ধরে রাখার লড়াই। সেটাও এখন দূর অস্ত মনে হচ্ছে।”
তবে বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে বেশ খোশমেজাজে দিলীপ। প্রাক্তন সভাপতির কথায়, “রবিশংকরজি আমাকে বলেছেন, ছোড়না নহি, লড়তে রহো।” তিনি বলছেন, “অপেক্ষায় আছি। পার্টি যা যা কাজ দেবে, সেই কাজ করব। রোজই বিভিন্ন ধরনের জনসংযোগ কর্মসূচি থাকছে। তাই ব্যস্ত থাকছি।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন