

কাকদ্বীপে সিপিআইএম দম্পতির অগ্নিদগ্ধ হয়ে খুন হওয়ার তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন আইপিএস দময়ন্তী সেন। অসুস্থতার কারণে এই মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন তিনি। মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে।
৭ বছর আগের হত্যাকাণ্ডে গঠিত হওয়া সিটের প্রধান ছিলেন আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন। বর্তমানে তিনি রাজ্য পুলিশের এডিজি পদে রয়েছেন। জানা যায় অসুস্থতার কারণে তিনি মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর আবেদন জানান আদালতে।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় হাড়হিম হত্যাকাণ্ড ঘটে কাকদ্বীপের বুধাখালিতে। অভিযোগ ওঠে ঘরের মধ্যেই গায়ে কেরোসিন এবং মোবিল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় দেবপ্রসাদ দাস এবং ঊষারানি দাসকে। দু'জনেই সিপিআইএম কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁদের ঘরও পুড়ে যায়। সিপিআইএমের অভিযোগ, এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা।
নিহত দম্পতির ছেলে দীপঙ্কর দাসের অভিযোগ, বাবা-মা তৃণমূলে যোগ দিতে না-চাওয়ায় তাঁদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে সুবিচার না পেয়ে, ২০২৩ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন দীপঙ্কর। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত সকলকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন তিনি। পাশাপাশি নিরপেক্ষ কোনো সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। ২০২৩ সালে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ সিট গঠনের নির্দেশ দেয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন দময়ন্তী সেন। নিজের পছন্দ মতো চারজন আধিকারিককে নিয়ে তদন্ত করছিলেন তিনি। তবে আর এই মামলার তদন্ত করবেন না দময়ন্তী সেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন