

ইমাম ও মোয়াজ্জিমদের ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই দাবি করেছে কংগ্রেস ও আইএসএফ। রাজনীতির সাথে ধর্ম গুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও সুর চড়িয়েছে তারা।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম ও মোয়াজ্জিমদের সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেখানেই ইমাম, মোয়াজ্জিম এবং পুরোহিতদের ৫০০ টাকা করে ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেন তিনি। ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফ কে একযোগে আক্রমণ করেন তিনি। মমতা ব্যানার্জি বলেন, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াতে চাইছে বাম-কংগ্রেস, বিজেপি। নাম না করে আইএসএফকেও দায়ী করেছেন তিনি।
এই ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "ইমাম ও মোয়াজ্জিমদের নিয়ে বাংলায় রাজনীতি করছে মমতা ব্যানার্জি। সার্বিকভাবে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের হিসেব দিক পারলে। সংখ্যালঘুদের চাকরি দিন। ভাতা বাড়িয়ে কী হবে?"
তিনি আরও বলেন, "বাংলার মুসলিমদের প্রতি উনি যদি এতোই ভাবেন তাহলে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রামের টাকা কোন খাতে খরচ করা হয়েছে জবাব দিক। মমতা ব্যানার্জি আসলে গোটা মুসলিম সমাজকেই ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে এসেছেন। ইমাম ও মোয়াজ্জিমদের টাকা দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাইছেন। তৃণমূল আমলে সংখ্যালঘুদের জন্য কী উন্নয়ন করা হয়েছে তা সকলেই জানতে চায়। সাহস থাকলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে সরকার জানাক"।
কংগ্রেসের পাশাপাশি আইএসএফও এই ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করেছে। তাদের অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নোংরা রাজনীতি করছেন। অনুদানের রাজনীতি করে নির্বাচনে জিততে চাইছেন তিনি। সাম্প্রদায়িক অশান্তির চেষ্টা করছেন। ভাবছেন ইমাম ও মোয়াজ্জিমদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক মেরুকরণ করা যাবে। গরিব মানুষদের ৫০০ টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন মমতা ব্যানার্জি।
এক বিবৃতিতে আইএসএফ লেখে, আমরা এই নোংরা রাজনীতিকে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। আমাদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী ওয়াকফ বোর্ডের টাকা নষ্ট করছেন কেন? মুখ্যমন্ত্রীর যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে আইন মোতাবেক ইমাম, মোয়াজ্জিমদের ন্যূনতম মজুরি দিন। সরকারি টাকার মোচ্ছব করে বিশাল সমাবেশ থেকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা সম্পূর্ণ অর্থহীন।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন