
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই চুরির ঘটনার ২ বছর পরে অবশেষে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে নিম্ন আদালতে রিপোর্ট পেশ করবে সিআইডি।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। সে সময় উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুল (স্কুলের এসআই) –এর দফতর থেকে দু’লক্ষ পাঠ্যবই চুরি যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। ওই বই চুরির ঘটনার তদন্ত সঠিক ভাবে করছে না পুলিশ। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারী সিবিআই তদন্তের আবেদন জানান।
মামলাকারীর জানিয়েছিলেন, স্কুল পড়ুয়াদের জন্য আনা সব বই রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে যায়। সেখান থেকে বইগুলি আসে এসআই দফতরে। এরপর প্রাথমিক স্কুলগুলি সেই বই সংগ্রহ করে পড়ুয়াদের বিনা মূল্যে বিলি করে। গত বছর নভেম্বরে চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়েছিল। উদ্ধার করা হয়েছিল অনেক বইও। এবার সেই ঘটনায় হাইকোর্ট সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলাকারীর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনজীবী কার্তিককুমার রায়। তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই মামলার তদন্তে এডিজি সিআইডির এক জন দক্ষ অফিসারকে নিযুক্ত করা হবে। পাশাপাশি এই মামালার তদন্তে সহায়তা করবে শিক্ষা দফতর এবং জেলাশাসকও।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “মনে করা হচ্ছে এটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। রিকশায় করে তো বই নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়”। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, হাইকোর্টে রাজ্য জানায় দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের প্রশ্ন, “মাত্র দু’জন এত বই চুরি করতে পারে না”। উল্লেখ্য, বর্তমানে অভিযুক্ত দু’জন জামিনে মুক্ত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন