
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি হস্টেল সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেলগুলিতে তালা ঝুলিয়ে দিতে হবে। আদালতের নির্দেশ, পুজোর ছুটির সময় যেন কোনও বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসন পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারবে।
দুই বিচারপতির বেঞ্চের আরও নির্দেশ, পুজো শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সেখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধান—এই সব বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার পর হস্টেলগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে। আদালত এ-ও বলেছে, ছুটির পর আবার হস্টেল খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।
গত ২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ওয়েবকুপার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে ধস্তাধস্তিতে তিনি আঘাত পান এবং পরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। একই ঘটনায় দুই পড়ুয়া আহত হন, একজন চোখে এবং আরেকজন পায়ে গুরুতর চোট পান। ওই ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং শেষমেশ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
এর আগে মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে সাংস্কৃতিক বা একাডেমিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না। শুক্রবারের নতুন নির্দেশে নিরাপত্তা ইস্যুতে আরও কঠোর অবস্থান নিল আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন