

সময়ের হিসেবে আর মাত্র পনেরো ষোলো ঘণ্টা। তার পরেই ব্রিগেড ভরে উঠবে শ্রমজীবী মানুষের স্রোতে। চারটি বাম গণ সংগঠনের ডাকে আগামীকালের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই রওনা দিতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে বাম কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবারের ব্রিগেড বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। কিছুটা প্রথা ভেঙেই এবারের ব্রিগেড সমাবেশ শুরু হবে বিকেল ৩টেয়।
এই মুহূর্তে ব্রিগেডে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সমাবেশের আগের দিন রাত জেগে ব্রিগেড সাজিয়ে তুলছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বিভিন্ন জেলা থেকে যারা আগেই ব্রিগেড পৌঁছে গেছেন তাঁরা যেমন একবার ব্রিগেড ঘুরে যাচ্ছেন, তেমনই দফায় দফায় ব্রিগেডে এসে প্রস্তুতি দেখে যাচ্ছেন শীর্ষ বাম নেতৃত্ব। সেই তালিকায় যেমন আছেন মহম্মদ সেলিম, তেমনই আছেন আভাস রায়চৌধুরী, অমিয় পাত্র, নিরাপদ সর্দার, অমল হালদার, সুভাষ মুখার্জিরা।
এদিন ব্রিগেড পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, সংবাদমাধ্যমে বা রাজনীতিতে তাদেরই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে যারা লুটে খাচ্ছে। অথচ যারা খেটে খাচ্ছে তাঁদের কথা নেই। এই ব্রিগেড থেকেই সেই খেটে খাওয়া মানুষের কাজের প্রশ্ন, মজুরির প্রশ্ন, ফসলের দামের প্রশ্ন উঠবে।
তিনি আরও বলেন, খেটে খাওয়া জনতার কথা বলবে এই ব্রিগেড। চাকরি হারাদের বেদনার কথা বলবে এই ব্রিগেড, নতুন চাকরির সম্ভাবনার কথা বলবে এই ব্রিগেড। আর বলবে মেহনতী মানুষের ঐক্য ও সম্প্রীতির কথা। বিভেদকে হারাতে ঐক্যের কথা বলবে এই ব্রিগেড।
এতদিন সিপিআইএম অথবা বামফ্রন্টের ডাকা ব্রিগেড দেখতে রাজ্য অভ্যস্ত থাকলেও এবারের ব্রিগেড সমাবেশ কিছুটা অন্যরকম। গতবছরের জানুয়ারিতে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ডাকা ব্রিগেড সমাবেশের পর এবারের সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠন, বাম খেতমজুর সংগঠন, বাম কৃষক সংগঠন এবং বাম বস্তি সংগঠন।
এবারের ব্রিগেডের বক্তা তালিকাতেও থাকছে চমক। সেই অর্থে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ছাড়া তারকা বক্তারা কেউ নেই। বরং এবারের ব্রিগেডে বক্তব্য রাখবেন, শ্রমিক সংগঠনের নেতা অনাদি সাহু, খেতমজুর সংগঠনের নেতা নিরাপদ সর্দার, কৃষক সংগঠনের নেতা অমল হালদার, বস্তি সংগঠনের নেতা সুখরঞ্জন দে এবং সাম্প্রতিক সময়ে মাটি কামড়ে খেতমজুর আন্দোলন করে যাওয়া মহিলা নেত্রী বন্যা টুডু। তবে মীনাক্ষী মুখার্জির নাম বক্তা তালিকায় না থাকলেও জনতার দাবিতে তিনিও বক্তৃতা দেবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন