

একদিকে যখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ তুলে নিচ্ছে হাইকোর্ট, অন্যদিকে তখন আর এক বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে রক্ষাকবচ দিল উচ্চ আদালত। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করা যাবে না ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতাকে। শনিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই রক্ষাকবচ দিয়েছেন।
পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ, যে সমস্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কোনও নির্দেশ আছে, সেগুলি বাদ দিয়ে বাকি মামলায় অর্জুন সিং আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবেন।
চলতি বছর ২৬ মার্চ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন মহম্মদ সাদ্দাম ওরফে মইনুদ্দিন। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরেই শুরু হয় বোমাবাজি। মজদুর ভবনের (অর্জুন সিংয়ের বাড়ি তথা অফিস) সামনে হওয়া এই হামলার নেপথ্যে তৃণমূল যোগ আছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ। তিনি বলেছিলেন, পার্থ ভৌমিক, সোমনাথ শ্যামের নির্দেশে নমিত সিং (ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীতা সিং-র ছেলে নমিত সিং) এটা করেছেন।
পাল্টা অর্জুন সিং-র বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, "অর্জুন সিং এবং তাঁর লোকেরা মেঘনা জুট মিলের শ্রমিকদের উপর আক্রমণ করে এবং গুলি চালায়। অর্জুন সিং-র গুলিতেই আহত হয় ওই যুবক। আরও তিন থেকে চারজন আহত হয়েছে।"
এরপরে মারধর এবং গুলি চলার অভিযোগে দু'টি পৃথক মামলা রজু করে পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাঁচটি নোটিস পাঠানো হয়েছিল অর্জুন সিংকে। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স এবং বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ-সহ জগদ্দল থানায় তলব করা হয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি।
এরপরেই মামলা যায় কলকাতা হাইকোর্টে। অর্জুনের আইনজীবীর দাবি, বোমাবাজির ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হলেও, তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন, সেটা নিয়ে এফআইআর করা হয়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, অর্জুন সিং বিজেপি নেতা বলে তাঁর একের পর এক অভিযোগ খারিজ দেওয়া হয়েছে। আদালতে তাঁর আবেদন ছিল, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করা হোক।
আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, অর্জুন সিংয়ের করা অভিযোগ পুলিশকে গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার এই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তই শুভেন্দু অধিকারীর অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছিলেন, যা ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁকে দিয়েছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন