

বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে অস্বস্তিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে থাকা চারটি মামলায় রাজ্য সরকার এবং সিবিআইকে যৌথ ভাবে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু করতে বলেছে হাইকোর্ট।
২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুভেন্দু অধিকারীকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি FIR-এর ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি মান্থা বলেছিলেন, হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য। কোনও এফআইআর-ও দায়ের করা যাবে না। কোনও FIR করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
আদালতের এই নির্দেশের ফলেই এতদিন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও পুলিশ এফআইআর রুজু করতে পারেনি।
বিচারপতি মান্থার সেই নির্দেশ আজ খারিজ করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি জানান, কোনও অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না। তাই এই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে থাকা ১৫টি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। কেবল চারটি মামলায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে। কোন কোন মামলায় তদন্ত চলবে, তা আদালতের রায়ের কপি আপলোড করা হলে জানা যাবে।
এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা বা তাঁর আইনজীবীদের কিছু বলার থাকলে আগামী সোমবারের মধ্যে আদালতে লিখিত ভাবে তা জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে শাসকদল তৃণমূল। ছোটবড় যে কোনও ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছে পুলিশ। এই অভিযোগ তুলে ২০২১ এবং ২০২২ সালে দু’বার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তারপরই বিচারপতি মান্থা তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন।
রাজ্য সরকার বিচারপতি মান্থার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। তবে শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন