
এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিতে আগামী ২৯ অক্টোবর সিইও দপ্তরের সামনে জমায়েতের ডাক দিলো রাজ্য বামফ্রন্ট ও বাম দলগুলি। শুক্রবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে ভারতের অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির ১০৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে একথা বলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এদিনের সভায় মহম্মদ সেলিম বলেন, বিজেপি আর তৃণমূল মানুষকে আতঙ্কিত করে তাদের নিজেদের দিকে টানতে চাইছে। আমাদের সামনে এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ, এসআইআর-এর নামে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির রাজনীতির মোকাবিলা। এর প্রতিরোধ করতে বুথে বুথে মানুষের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলতে হবে।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের নির্বাচনে আরএসএস-বিজেপি’র কর্মসূচির অংশ এসআইআর। সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সংগঠিত করতে এই প্রক্রিয়া। ভোটার তালিকা সংশোধন এর উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে প্রকৃত কোনও ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়।
মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কবজা করে নেয় সাম্প্রদায়িক শক্তি। সেই প্রক্রিয়াতেই নির্বাচন কমিশনকে কবজা করে এসআইআর করা হচ্ছে। আরএসএস কবজা করছে নির্বাচন কমিশনকে। জাল ভোট বাদ দেওয়ার জন্য এসআইআর করা হচ্ছে না।’’
তিনি বলেন, ভোটার তালিকা যে ভুলে ভরা, তা আমরাও বলছি। আগেও বারবার বলেছি। কিন্তু এর দায় কার? দায় নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু বিজেপি তৃণমূল ভোটার তালিকার সংশোধন, ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ দিতে চায় না। এরা চায়, মানুষের মনে ভয় তৈরি করে, মানুষকে আতঙ্কিত করে নির্বাচনে সেই আতঙ্ককে ব্যবহার করতে।
এই প্রসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ভাষণের উল্লেখ করে বলেন, ‘‘অমিত শাহ বলছেন ‘ডিটেক্ট, ডিলিট, ডিপোর্ট’। অর্থাৎ চিহ্নিত কর, নাম বাদ দাও, তারপর বাংলাদেশে পাঠিয়ে দাও। যার মানে হচ্ছে সিএএ-এনআরসি’কে ঘুরপথে ফিরিয়ে আনা।’’
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘প্রকৃত ভোটার হিসেবে যাদের নাম আছে তাদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। ভুয়ো নাম বাদ দিতে হবে এবং নতুন নাম তুলতে হবে। এক্ষেত্রে বামপন্থীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় সহায়ক কেন্দ্র গড়তে হবে। কারণ মানুষের মধ্যে সংশয় এবং আশঙ্কা রয়েছে।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন