কথায় কথায় আদালতে যাচ্ছে, তাই নিয়োগ করা যাচ্ছে না - বিধানসভা অধিবেশন থেকে বিরোধীদের তোপ মমতার

মামলা লড়তে লড়তে সরকারের রাজকোষ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র - সংগৃহীত
Published on

কথায় কথায় আদালতে যাচ্ছে, তাই নতুন করে নিয়োগ করা যাচ্ছে না। - বিধানসভার অধিবেশনে গিয়ে এইভাবেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর দাবি, মামলা লড়তে লড়তে সরকারের রাজকোষ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ সহ একাধিক মামলায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে ভুগছে তৃণমূল সরকার।

রাজ্য বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলছে। বৃহস্পতিবার সেই অধিবেশনে হাজির হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অধিবেশন চলাকালীন রেশন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে গোরু পাচার সহ একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের তাবড় তাবড় মন্ত্রী, বিধায়ক এবং নেতাদের। যার জেরে তৃণমূলকে লাগাতার নিশানা করে চলেছে সিপিআই(এম), কংগ্রেস এবং বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলগুলি প্রায়শই আদালতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মামলা করছে।

নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলি বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারাধীন। আদালতের নির্দেশেই তদন্তে নেমেছে সিবিআই, ইডি। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন বহুবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তাঁদের মতে, বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাঁর আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং বিরোধীদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়েই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করতে চাইছে তৃণমূল। দলীয় এবং প্রশাসনিক উভয় দিক থেকেই নিজেদের পিঠ বাঁচাতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ের পর সরকারি কর্মীকে ঘুষি-চড়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সরকারি কর্মচারীদের আন্দলনে পুলিশি হামলার নিন্দায় বামফ্রন্ট, বিচারপতি গাঙ্গুলি

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in