
ভাঙরের বিধায়ক তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এই মিছিলে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি পা মেলাবেন বাম সহ অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের কর্মী সমর্থকরাও।
বুধবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের বাজেট অধিবেশন। যদিও সেই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আইএসএফ-র দাবি অবিলম্বে নওশাদ সিদ্দিকি, দলের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি সহ সকল নেতা-নেত্রী ও কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আইএসএফের সাথে একই দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বামেরাও। নওশাদের মুক্তি ও ভাঙরের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির দাবিতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রামলীলা ময়দান থেকে রাণি রাসমণি রোড পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল হবে।
মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন একাধিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। একটি প্রেস বিবৃতিও জারি করা হয়। বিবৃতি অনুসারে, 'পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন। ১৭ দিন ধরে কোনো তথ্যপ্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও নানান অছিলায় কাউকে পুলিশি হেফাজতে, কাউকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা। যাঁরা আক্রান্ত হলেন তাঁরাই আটক হলেন আর অপরাধীরা বহাল তবিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে সন্ত্রাসের এক বাতাবরণ তৈরি করা এই হামলার অন্যতম লক্ষ্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ ভাবে যেকোনো জায়গায় সমাবেশ করার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। পুলিশি হেফাজতে বন্দীদের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। কিন্ত দেখা যাচ্ছে এই ঘটনায় এই সমস্ত মৌলিক অধিকারের লাগাতার লঙ্ঘন হয়ে চলেছে। গণআন্দোলনের ওপর এই জাতীয় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস গণতন্ত্রের পরিসরকে একটু একটু করে নিঃশেষ করে ফেলছে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন